দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় কালীপুজোর প্রস্তুতি । কালীপুজো বাংলায় বেশি প্রাচীন পুজো নয়। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রথম এই পুজো আরম্ভ করেন। তার পর থেকেই সারা বাংলায় ধুমধাম করে শ্যামা মায়ের আরাধনা করা হয়। তবে বাংলার কালী আরাধনার মাহাত্ম্য পুরাণে উল্লেখ করা আছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি সতীপীঠও। তাই সেই পুজোর নিয়মকানুন অজানা থাকলে চলে? কালীপুজোর আগে জেনে নিন কী কী ভোগ দেওয়া যায় মা-কে।
খিচুড়ি- মা কালীর ভোগে অন্যতম খিচুড়ি। চাল-ডাল সহযোগে তৈরি অপূর্ব স্বাদের যে ভোগ নিবেদন করা হয়, সেটাই খিচুড়ি।
লাবড়া- শীতের মরসুমী সবজি লাবড়া পরিবেশন করা হয় মা কালীকে। একে পাঁচমিশালি তরকারিও বলা হয়। পাঁচের জায়গায় সাত, নয় বা দশ রকমের সবজিও থাকতে পারে। সব রকম সবজির মিলমিশে এই পদ স্বর্গীয় স্বাদ পায়।
ভুনা খিচুড়ি- আতপ চাল এবং মুগের ডালের সংমিশ্রণের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট অন্নভোগ। তেল, নুন, ঘি, গরম মশলা, চাল, ডাল দিয়ে যে ভুনা খিচুড়ি বানানো হয়, মা কালীর ভোগ হিসেবে উৎকৃষ্টতম ধরা হয় তাকে।
লুচি- বাঙালি সঙ্গে লুচির একটি গভীর যোগাযোগ রয়েছে। যে কোনও উৎসবে ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন হোক বা নিজেদের পেটপুজো,লুচি তার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সঙ্গে কখনও আলুর দম, কখনও তরকারি বা বাঁধাকপির ঘণ্ট, কখনও বা পায়েস। লুচি তার এক
নিরামিষ আলুর দম লুচির সঙ্গে আলুর দমের জুড়ি মেলা ভার। এই সময়ে বাজারে ওঠে নতুন আলু। মা কালীকে ভোগ নিবেদনের সময়ে সেই ছোট আলুর খোসা-সহ দম একটি জনপ্রিয় ভোগ।
নিরামিষ পাঁঠার মাংস- পাঁঠার মাংস পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া আদা, লঙ্কা, গরম মশলা, ধনে, জিরে দিয়ে রেঁধে সেই নিরামিষ মাংস ভোগ হিসেবে মাকে নিবেদন করা হয়।
পায়েস- বাঙালির সব খাবারের শেষে পায়েস বা মিষ্টি খাবার চাই-ই চাই। তাই মা কালীকে নিবেদনের সময়েও শেষপাতে পায়েস বা ক্ষীর কিংবা মিষ্টি জাতীয় অন্য কোনও খাবার দেওয়াটা রীতি।