সুখী ও বিত্তবান গৃহস্থ বাড়িতে মা লক্ষ্মী বাস করেন বলে মনে করা হয়। লক্ষ্মী দেবী শুধু তাঁর সঙ্গে সম্পদ নিয়ে আসেন না, তার সঙ্গে সংসারে সুখ ও শান্তিও আসে তাঁর হাত ধরে।
আর যে সংসার যিনি ত্যাগ করে যান, সেই সংসারে নানা দুঃখ, দুর্দশা, দারিদ্র্য ও অশান্তি মাথা তোলে। তাই লক্ষ্মীদেবীকে তুষ্ট রাখতে আমরা সবাই চাই। আজ দেখে নেওয়া যাক কোন কোন সামগ্রী মা লক্ষ্মী অত্যন্ত পছন্দ করেন।
নারকেল: হিন্দুধর্মে নারকেল অত্যন্ত পবিত্র ফল। মনে করা হয়, মা লক্ষ্মীর প্রিয় ফল হল নারকেল, সেই কারণে নারকেলকে শ্রীফলও বলা হয়ে থাকে। আপনার বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো থাকলে নারকেল এবং নারকেলের তৈরি মিষ্টি নিবেদন করতেই হবে।
ক্ষীর: সাদা রঙের মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং ক্ষীর ভালোবাসেন মা লক্ষ্মী। তাই বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো হলে অবশ্যই ক্ষীর বা পায়েস দেবীকে নিবেদন করুন। ক্ষীর বা পায়েস ছাড়া লক্ষ্মীপুজো সম্পূর্ণ হয় না। মা লক্ষ্মীর পুজোয় নিবেদন করার জন্য তৈরি ক্ষীর পুজোর শেষে ছোট বাচ্চা মেয়েদের খাইয়ে দিন। এতে সংসারে মঙ্গল হয় বলে মনে করা হয়।
শঙ্খ: লক্ষ্মী পুজোয়,১০৮ বার জপ করুন 'ওম শ্রী শ্রে. নমহঃ'। তারপর দক্ষিণাবর্তী শঙ্খে জল ভরে নিন এবং বিষ্ণুকে সেই জল দিয়ে অভিষেক করুন। এর ফলে খুশি হন মা লক্ষ্মী। এর পাশাপাশি সন্ধ্যাবেলা তুলসী গাছের গোড়ায় একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে দিন।
মিছরি: পুরোহিতদের মতে, সাদা রঙের মিছরিও অতি প্রিয় লক্ষ্মী দেবীর। তাঁকে তুষ্ট করে তাঁর আশীর্বাদ লাভ করতে লক্ষ্মী পুজোয় মিছরি নিবেদন করতেই হবে। বলা হয়ে থাকে মিছরি ও বাতাসা ছাড়া মা লক্ষ্মীর পুজো সম্পূর্ণ হয় না।
মাখানা: পদ্ম ফুলের বীজ থেকে তৈরি হয় মাখানা। সেই কারণে একে ফুল মাখানাও বলা হয়ে থাকে। মা লক্ষ্মী পদ্মফুল ভালোবাসেন এবং পদ্মফুলের উপরেই অবস্থান করেন তিনি। সেই কারণে পদ্মফুলের বীজও তাঁর অতি প্রিয়। তাই, লক্ষ্মী পুজোয় মাখানা নিবেদন করা হয়ে থাকে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।