প্রতীকি চিত্র
১২ বছর সাধনার ফল! মা কামাক্ষ্যা এলেন পরিবারের সদস্যা হয়ে! জানুন এই অলৌকিক কাহিনি
বরদাচরণ গুপ্ত - মালদার গঙ্গাবাগ অঞ্চলের গুপ্ত বাড়ির ছেলে। ঈশ্বর ভক্তি ছিল ছোটবেলা থেকেই আর আধ্যাত্মিকতার নেশায় বাড়ি ছেড়েছিলেন কিশোর বেলায়। এরপরই মা কামাক্ষ্যার সাধনা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ 12 বছর সাধনার পরে মা কামাক্ষ্যা দেখা দিয়েছিলেন ভৈরবীর রূপে।
মা ভৈরবীর কাছে তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ১২ বছর আগে তিনি যে গৃহ ত্যাগ করেছিলেন, সে গৃহে তিনি ফিরবেন মা ভৈরবী কে নিয়ে। মা কামাক্ষা সম্মতি জানিয়েছিলেন কিন্তু শর্ত দিয়েছিলেন বরদাচরণের বাড়িতে তিনি থাকবেন ভগবতী রূপে। কেউ তার পরিচয় যেন জানতে না পারে। পরিচয় জানলে তিনি গৃহত্যাগী হবেন। মা কামাখ্যা ওরফে ভগবতী দেবীকে নিয়ে মালদার গুপ্ত বাড়িতে ফেরেন।
কিন্তু দীর্ঘ 12 বছর কোন যোগাযোগ না থাকায় গুপ্ত বাড়ির সদস্যরা বরদাচরণকে এক প্রকার মৃত হিসেবে ধরে নিয়ে তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছিল বাড়িতে। এত বছর পর বরদাচরণ কে দেখে সকলেই অবাক হয়ে ভগবতী দেবীর পরিচয় জানতে চান। বরদাচরণ জানিয়েছিলেন এত বছর এই মায়ের বাড়িতেই তিনি থাকতেন। এই মা পরম যত্নে তাকে রান্না করে খাইয়েছেন এবং দেখাশোনা করেছেন। এরপর থেকে ভগবতী দেবী ওই বাড়িতে রাঁধুনি হিসেবে থাকা শুরু করলেন।
কিন্তু বাধ সাধল সময়। শ্রাবণ মাসের কোন এক ঝড় বৃষ্টির দুপুরে অন্য বাড়ির দালান থেকে পরিবারেরই এক সদস্যের সন্তানকে মায়ের কোলে এনে দেন ভগবতী। জানাজানি হতেই কামাক্ষ্যা বরদাচরণের গৃহত্যাগ করেন এবং চিহ্ন হিসেবে হাতের খড়্গটির পুজোর নির্দেশ দিয়ে যান তিনি। এরপর মালদার গুপ্ত বাড়ির দুর্গাপুজো বন্ধ হয়। তিন দশক আগে মালদার ভিটে মাটি বিক্রি করে গুপ্ত বাড়ির একাংশ বোলপুরে এসে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে বোলপুরের বাড়িতেই গুপ্তদের উত্তরাধিকারীদের হাতেই মৃন্ময়ী রূপে পূজিতা হচ্ছেন দেবী দুর্গা।
এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।