উমা ফিরে গিয়েছেন তাঁর বাপের বাড়িতে। এই বার তাঁর মেয়ের আসার কথা। আর এক দিন পরেই পূর্ণিমা।
সে দিনই বাঙালির ঘরে ঘরে পালিত হবে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো।
ধন সম্পদের দেবী পূজিত হবেন সর্বত্র। কেবল বাংলা নয়, এই পুজোর মাহাত্ম্য রয়েছে বাঙালি সম্প্রদায়ের বাইরেও।
আলপনা এঁকে, ধান-দুব্বো দিয়ে আহ্বান জানানো হবে মা'কে। মা যেন সারা বছর আমাদের ঘরে বিরাজ করেন। তাঁর আশীর্বাদ যেন থাকে সব সময়।
কিন্তু কী উপায়ে জানা আছে? কোন ছয় উপায় মানলে ঘরে আসবেন মা লক্ষী? রইল এই প্রতিবেদনে।
অনেকেই মনে করেন এই দিনেই জন্ম হয়েছিল মা লক্ষ্মীর। তাই ধন সম্পদের দেবীকে তুষ্ট করতে এই দিন উপোস করে দেবীর আরাধনা করেন মানুষ।
প্রচলিত আছে, এই দিন চন্দ্র দেব তাঁর আশীর্বাদ পৃথিবীতে বর্ষণ করেন। তা অমৃত রূপে নেমে আসে পৃথিবীতে।
মতভেদে এই শারদ পূর্ণিমাকেই বলা হয় রাস পূর্ণিমা।
এই দিনেই নাকি যমুনার তীরে রাসলীলায় মেতে উঠে ছিলেন বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণ।
তাই ভগবান কৃষ্ণের আশীর্বাদ পেতেও অনেকে এই পূর্ণ তিথিতে স্নান করেন পবিত্র যমুনায়।
এই দিনে চন্দ্রদেবকে তুষ্ট করা খুব গুরুতবপূর্ণ বলে মত একাংশের। নতুন বিবাহিত দম্পতি সারা বছর পূর্ণিমা ব্রত করে, এই দিন থেকেই উপোস করে সেই ব্রতের শুরু করে।
তবে শুধু নতুন দম্পতি নয়, আপনিও মেনে চলুন এই ছয় উপায়। তা হলেই ঘরে ফিরবে লক্ষ্মী। দূর হবে সমস্যা।
১। প্রথমে সন্ধেবেলা স্নান করে শুদ্ধ হয়ে একটি লাল কাপড়ের উপরে দেবী মূর্তিকে রাখুন।
২। ভক্তি ভরে নিয়ম নিষ্ঠা পালন করে দেবীর আরধনা করুন। দেবীর ব্রতকথা পাঠ করুন।
৩। এই দিন দেবীর আশীর্বাদ লাভ করতে মা 'কে পান পাতা অর্পণ করুন।
৪। ব্রত পাঠের পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুর শাস্ত্রনাম এবং শ্রী হরি স্ত্রোত্র পাঠ করুন। দেবীর বন্দনা করুন।
৫। রাতে একটি ঘটে সম্পূর্ণ ভর্তি করে জল ভরে রাখুন। সঙ্গে বাড়ির সব জায়গায় প্রদীপ জ্বালান।
৬। দুধ, ঘি, দই সব দিয়ে পঞ্চমৃত তৈরি করে তা দেবীকে নিবেদন করতে পারেন। তবে তাঁর উপরে একটি তুলসী পাতা দিতে ভুলবেন না কিন্তু।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।