Myths of Tamil Nadu Temples

বিয়ের ফুল ফোটাতে মানুষ ছোটেন দক্ষিণের এই দুই মন্দিরে

জীবনসঙ্গী চেয়ে অনেকেই পুজো দেন দক্ষিণ ভারতের এই দুই মন্দিরে। ভক্তদের বিশ্বাস, জাগ্রত দেবতার আশীর্বাদে মিলে যায় যোগ্য জীবনসঙ্গী।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৫
Share:

শ্রী মঙ্গলেশ্বর মন্দির

Advertisement

মঙ্গলাম্বিকাই সামথা শ্রী মঙ্গলেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলে নাকি প্রেমের বিয়ে সফল হয়। এমনটাই মানেন অগণিত ভক্ত। ‘মঙ্গল্যম’ কথাটির অর্থ মঙ্গলসূত্র বা প্লেট। এখানে যাঁরা যান, তাঁরা পুজোর সময়ে এই জিনিসগুলি ব্যবহার করেন। তামিলনাডুর ত্রিচি বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে লালগুড়ি গ্রাম এলাকায় এই মন্দির। ভাবছেন যে শুধু বিয়ে করতে ইচ্ছুকরাই ছোটেন এই মন্দিরে? বিবাহিত মহিলারাও কিন্তু যান দেবদর্শনে। বছরের পর বছর ধরে যাঁরা সন্তান চাইছেন এবং দত্তক নেননি, তাঁরাও সন্তান পাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে এই মন্দিরে পুজো দেন।

অবস্থান: তামিলনাড়ুতে চেন্নাই থেকে ত্রিচি ট্রেনে লাগে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ত্রিচি বাসস্ট্যান্ড থেকে ২২ কিমি দূরে লালগুড়ি গ্রাম। সেখানেই এই মন্দির।

Advertisement

শ্রী বেদাপুরেশ্বর

তামিলনাডুর তিরুবেধিকুড়িতে তিরুভাইয়ারুর কাছে মাঙ্গাইয়ার্করাসি সামথা এলাকায় শ্রী বেদাপুরেশ্বর মন্দির। এখানকার প্রধান দেবতা হলেন বেদাপুরেশ্বর বা ভাজাইমাদুনাথর। শিবের অন্য রূপ। এখানে একটি স্বয়ম্ভু লিঙ্গ রয়েছে, যা দেখতে প্রতি বছর প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। অবিবাহিত যুগলেরা প্রেমের বিয়ের ইচ্ছা পূরণে এখানে পুজো দেন। কথিত যে, চোল রাজা তার মেয়ের বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন। দেবী মাঙ্গাইয়ার্করসীর কাছে প্রার্থনা করে কন্যার নামে পূজা করিয়েছিলেন তিনি। কিছু দিনের মধ্যেই যোগ্য বরের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। রাজা এত খুশি হয়েছিলেন যে মেয়ের নাম পরিবর্তন করে মাঙ্গাইয়ার্কসি রাখেন তিনি।

অবস্থান: চেন্নাই থেকে তিরুবেধিকুড়ি ৩১০ কিমি। সেখান থেকে তিরুভাইয়ারুর দূরত্ব প্রায় ৬২ কিমি।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement