প্রতীকী চিত্র
দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার পরে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতেই নয়, বারো মাস লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা চলে ঘরে ঘরে। ধনসম্পদ ও বৈভবের দেবী হিসেবেই পুজো পান তিনি।
লক্ষ্মীপুজো করতে গেলে কিছু নিয়ম অবশ্যপালনীয়। জেনে নিন কী সেই নিয়মকানুন।
১। ভক্তি - মা লক্ষ্মী সাধারণত ভক্তিতে সন্তুষ্ট হন। যে বা যাঁরা সামান্য উপকরণেও ভক্তিভরে লক্ষ্মীপুজো করেন, তাঁদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে ধনসম্পদ এবং বৈভবের আশীর্বাদ করেন লক্ষ্মীদেবী। ভক্তি তাঁর পুজোর প্রধানতম উপকরণ। তাই পুজোর সময়ে অন্যমনস্ক হলে অসন্তুষ্ট হন দেবী।
২। ঘট স্থাপন করলে তার সঙ্গে অল্প পরিমাণে মাটি, সিঁদুর, ধান, আম্রপল্লব, দূর্বা, আতপ চাল এবং জল প্রয়োজন। কাঁঠালি কলা, হরিতকি, চন্দন, ধূপ, দীপ, ফুল ও তুলসী পাতা প্রয়োজন হয় লক্ষ্মীপুজোয়।
৩। পদ্মফুল একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিস এই পুজোয়। আঁকা হয় আলপনাও। তার সঙ্গে লক্ষ্মীপুজো অঙ্গাঙ্গীক ভাবে জড়িত। পুজো শেষ হলে নারায়ণের উদ্দেশ্যে একটি তুলসী অর্পণ করতে হয় ঘটে। মা লক্ষ্মীর বাহন পেঁচাকে উদ্দেশ্য করেও ফুল নিবেদন করতে হয়।
৪। দেবী লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে কখনওই তুলসী নিবেদন করবেন না। তা করবেন নারায়ণের উদ্দেশ্যে।
৫। লোহার পাত্র নয়, লক্ষ্মীপুজোয় ব্যবহার করুন তামার পাত্র। লোহা দিয়ে সাধারণত অলক্ষ্মী পুজো হয়। তাই লক্ষ্মীপুজোয় লোহা ব্যবহার না করাই ভাল।
৬। লক্ষ্মীপুজোতে ঘন্টার ধ্বনি ব্যবহার করার নিয়ম নেই। এতে মা লক্ষ্মী চমকে গিয়ে ভয় পেয়ে যান।
মা লক্ষ্মী অল্পেতেই সন্তুষ্ট হন। কেউ যদি মন্ত্র পড়তে অপারগ হন তবে একমনে দেবী লক্ষ্মীর ধ্যান করলেই তিনি প্রসন্ন হন। তাঁকে ভক্তিভরে আহ্বান করলে বিনা মন্ত্রেও তিনি ভক্তের সামনে আবির্ভূত হন। এমনকি কোনও উপকরণের জোগান করতে না পারলেও তা জেনে তিনি রুষ্ট হন না। ভক্তি ভরে তাঁর অর্চনা করে পাঁচালী পাঠ করলে দেবী গৃহস্থের ঘরে অধিষ্ঠান করেন। মা লক্ষ্মীর কৃপায় শস্য, সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতি বৃহস্পতিবারে তাঁর আরাধনা করলে সংসারের মঙ্গল হয়।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।