ধনতেরসের দিন বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি আনতে পুজো করা হয় দেবী ধনলক্ষ্মীর।
পুরাণ মতে, হতদরিদ্র এক ব্রাহ্মণের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য এক সাধু তাঁকে দেবী লক্ষ্মীর পুজো করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
সাধুর কথামতো সেই ব্রাহ্মণ দেবীর পুজো করেন এবং মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে প্রচুর ধনলাভ করেন।
সেই কারণেই প্রাচুর্য্য ও সুখী জীবনের প্রার্থনায় ধনলক্ষ্মীর পুজো করা হয়।
তবে লক্ষ্মীর সঙ্গে প্রায় সব সময়েই পূজিত হন গণেশ। এমনকি ধনতেরসের দিনেও গণপতিকে পুজো করা হয়।
কথিত, দেবী লক্ষ্মীর কোনও সন্তান ছিল না। তাই তিনি গণেশকে নিজের পুত্ররূপে দত্তক নিয়েছিলেন।
লক্ষ্মী ঘোষণা করেছিলেন যে, তাঁর সমস্ত সমৃদ্ধি এবং সম্পদে গণেশের অধিকার রয়েছে।
দেবী আরও বলেন যে, তিনটি জগতে যদি কেউ তাঁর সঙ্গে গণেশের উপাসনা না করেন, তবে সেই ব্যক্তির জীবনে কখনওই সমৃদ্ধি আসবে না।
আরও একটি ব্যাখ্যা হল যে, গণেশ হলেন জ্ঞানের দেবতা এবং সঠিক জ্ঞান ছাড়া যদি অর্থ যে কোনও খাতে ব্যয় করা হয়, তা হলে তাতে ক্ষতি বই লাভ হয় না।
এমন নানা বিশ্বাসেই ধনতেরসে মা লক্ষ্মীর পাশাপাশি পুজো পান গণেশও। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।