এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য রীতি হল নবপত্রিকা স্নান বা প্রচলিত ভাষায় যাকে বলা হয় কলা বউ স্নান।
সূর্য ওঠার আগেই, একটি কলাগাছ পবিত্র গঙ্গার জলে স্নান করিয়ে, তারপর এটিকে নববধূর এর মতো নতুন শাড়ি পরানো হয়।
এখানে নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ নব অর্থাৎ ৯ পত্রিকা অর্থাৎ ন’টি পাতা। কিন্তু এখানে ন’টি পাতা নয় বরং ন’টি গাছের পুজো করা হয়। এই ন’টি গাছের মধ্যে থাকে কলা, বেল, অশোক, কচু, হলুদ, ধান, জয়ন্তী, মান ও দাড়িম।
নবপত্রিকা বা গাছকে দেবী দুর্গার ৯টি রূপ হিসাবে পুজো করা হয়। এই ৯টি গাছ যথাক্রমে রম্ভাধিষ্ঠাত্রী ব্রহ্মাণী, কচ্বাধিষ্ঠাত্রী কালিকা, হরিদ্রাধিষ্ঠাত্রী উমা, জয়ন্ত্যাধিষ্ঠাত্রী কার্তিকী, বিল্বাধিষ্ঠাত্রী শিবা, দাড়িম্বাধিষ্ঠাত্রী রক্তদন্তিকা, অশোকাধিষ্ঠাত্রী শোকরহিতা, মানাধিষ্ঠাত্রী চামুণ্ডা ও ধান্যাধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মী।
এই নয় দেবী একত্রে ‘নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা’ নামে পুজিত হয়। এই নবপত্রিকাবাসিনী নব দুর্গার মন্ত্র হল ‘নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ’।
নবপত্রিকা মণ্ডপে আনার পর দেবীকে মহাস্নান করানো হয়। এর পরে বাকি দিনগুলিতে নবপত্রিকা বাকি দেবদেবীদের সঙ্গেই পূজিত হতে থাকে।
নবপত্রিকা প্রবেশের আগে পত্রিকার সামনেই দেবী চামুণ্ডার পুজো করা হয়। বাকি অপর কোনও দেবীকে পৃথক ভাবে পুজো করা হয় না।