আজ বিশ্বকর্মা এ দেশে। আর ৫ দিন বাদেই চিনে এক বিশাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া উৎসবের শুরু। ১৯তম এশিয়ান গেমস। চিনের হ্যাংঝৌ প্রদেশে।
কিন্তু সে তো দিন কয়েক পরের কথা!
এই মুহূর্তে চিনে আরেকটা বিরাট উৎসব চলছে জানেন কি? তাতেও ক্রীড়ার স্বাদ আছে। জয়-পরাজয়ের আনন্দ-বেদনা আছে।
কারণ, সেটাও একটা বিরাটাকার প্রতিযোগিতা যে! এবং সেটাও আন্তর্জাতিক।
ওয়েইফাং আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসব তথা প্রতিযোগিতা!
হ্যাঁ, চিনের হ্যাংঝৌ এশিয়াডে যদি ৪৫টা দেশের ১০ হাজারের বেশি খেলোয়াড় ৪০ রকমের বিভিন্ন খেলায় ১২ দিন ধরে অংশ নেবেন, তো পূর্ব চিনের শানতং প্রদেশের ওয়েইফাং শহরও খুব একটা পিছিয়ে নেই। সেখানকার আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে এশিয়ান গেমসের চেয়েও বেশি সংখ্যক দেশের মানুষ যোগ দিয়েছেন। সারা পৃথিবীর ৬০টি বিভিন্ন দেশ থেকে ৬০০-র বেশি ঘুড়ি ওড়ানোয় বিশেষজ্ঞ প্রতিযোগীরা এখন সেখানে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন।
আজ্ঞে হ্যাঁ, আজ বিশ্বকর্মা পুজোয় কেবল কলকাতার আকাশেই ঘুড়ি উড়ছে, তা নয়, সুদূর চিনের ওয়েইফাং শহরের আকাশও ঘুড়িতে ঘুড়িতে ঘুড়িময়! হয়তো বা রীতিমতো ঘুড়ি-কাটাকাটি আর বিভিন্ন ভাষায় 'ভোকাট্টা' চিৎকারেও চারপাশ জমে উঠেছে। এবং চিনের মাত্র ১২ দিনের আসন্ন এশিয়ান গেমসের চেয়েও স্থায়িত্বের তুলনায় চিনেই বর্তমান আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসব তথা প্রতিযোগিতার মেয়াদ অনেকটাই বেশি। যার সরকারি নাম 'বিনহাই ওয়েইফাং ইন্টারন্যাশনাল কাইট ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড কম্পিটিশন'! এক মাসেরও বেশি দিনব্যাপি এই ঘুড়ি উৎসব সেখানে চলেছে। যার উৎপত্তি ১৯৮৪ সালে।
ঘুড়ির আবিষ্কার দেশ চিন। বর্তমানে বিশ্বের মোট ঘুড়ির ৭০ শতাংশ শুধু চিনেই তৈরি হয়। চৈনিক নানান ইতিহাস, শিল্প, সাহিত্য, কারুকার্য সেই সব বিশালাকায় অদ্ভুত অদ্ভুত আকারের ঘুড়িতে প্রকাশিত। আর সেই ধরনের সব ঘুড়ি নিয়ে পূর্ব চিনের ওয়েইফাং শহরের আকাশ এখন রঙিন। আধুনিক সময়ের হাত ধরে ইদানীং অনলাইনে পর্যন্ত ঘুড়ি প্রতিযোগিতা হয় সেখানে। তাতেও অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের ঘুড়ির মাধ্যমে আকাশে ফুটে ওঠে তাঁদের নিজেদের দেশের নানান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।