ফল-মিষ্টি নয়। এমনকী, অন্য কোনও খাদ্যবস্তুও নয়। এ মন্দিরে পুজোর প্রসাদ নানা বিষয়ের বই। চমকপ্রদ এই রীতি কেরলের ত্রিশূরে মহাদেব মন্দিরে।
এই শিব মন্দিরের নিয়মই হল ভক্তের হাতে পড়াশোনার সামগ্রী তুলে দেওয়া। এখানকার বিশ্বাস, জ্ঞানই আসল প্রসাদ। তাই পুজো দিলে প্রসাদ হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ের বই দেওয়া হয় মন্দির থেকে। সঙ্গে খাতা, কলম, পড়াশোনা সংক্রান্ত সিডি, ডিভিডিও। মন্দিরে ভক্তরাও মহাদেবের জন্য বই, কলম, পেনসিল ইত্যাদি নিয়ে আসেন। প্রসাদ হিসেবে সেগুলিই বিলিয়ে দেন পুরোহিতরা।
এই মন্দিরের সঙ্গে পড়াশোনা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে। রীতি অনুযায়ী, শিশুদের যখন অক্ষরজ্ঞান শুরু হয়, তখন বিজয়া দশমীতে মা-বাবারা তাদের নিয়ে মন্দিরে যান। তাঁদের বিশ্বাস, এতে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ভাল হবে।
মন্দিরের দেওয়ালেও খোদাই করা রয়েছে শিক্ষাজগতের বহু বিখ্যাত মানুষের। সেই তালিকায় রয়েছেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, সিভি রমন, এপিজে আবদুল কালাম, গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজন-সহ আরও অনেকে।
কী ভাবে যাবেন : হাওড়া থেকে ত্রিশূর দেড় দিনের যাত্রাপথ। স্টেশন থেকে মন্দির ৯ কিমি। কাছের বিমানবন্দর কোচিন।
(এই মন্দির সম্পর্কে প্রচলিত কাহিনিতে জীবন যাপন নিয়ে যে দাবি করা হয়ে থাকে, তা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন দায়ি নয়। )
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।