পুজোতো এসেই গেল। জামা-কাপড় কেনা থেকে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা সবই তৈরির মুখে! বাড়ি সাজানোর ব্যাপারটিও নির্ঘাৎ মাথায় ঘুরছে। বাড়ির যে অংশটা বাইরে থেকে দেখা যায়, তা হল বারান্দা। সেটিও পরিচ্ছন্ন ও আকর্ষক করবেন কী করে? সব থেকে ভাল ও কম খরচার উপায় হল গাছ দিয়ে সাজানো।
গাছ রাখুন বারান্দায়। রাতের বেলায় অল্প আলো জ্বেলে রাখুন। সবার নজর থাকবে আপনার বাড়ির দিকে। কী কী গাছ রাখবেন? যেহেতু বাড়ির ব্যাপার, এখানে বাস্তশাস্ত্রের ব্যাপারস্যাপার এসেই যায়। এই প্রতিবেদনে থাকল বাস্তু অনুযায়ী গাছের নাম।
বাঁশ গাছ: ভাববেন না যেন, বাঁশ ঝাড়ের কথা বলা হচ্ছে। এই বাঁশ গাছগুলিকে বলা হয় লাকি বাম্বু। বাস্তু অনুসারে এই গাছ বাড়িতে আনন্দ, সৌভাগ্য, খ্যাতি, শান্তি এবং সম্পদ নিয়ে আসে। বারান্দার এক কোণে রাখতেই পারেন। এ ছাড়াও বেড রুমেও রাখা যায়।
মানি প্ল্যান্ট: প্ল্যান্টগুলি আপনার বারান্দার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে রাখতে পারেন। এই গাছ সৌভাগ্য বহন করে আনে।
ক্রাইস্যান্থেমাম: অদ্ভুত রকমের সুন্দর এই ফুল গাছ। এই ফুল সন্তুষ্টি, উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রাবার প্ল্যান্ট: রাবার গাছ বাড়ির ভিতরে রাখাকে শুভ বলে মনে করা হয়। এই গাছ বাড়িতে সম্পদ ও বাণিজ্যে সফলতা নিয়ে আসে। এই গাছের বড় বড় পাতা আপনার বারান্দাকে আকর্ষক করে তুলবে।
জুঁই ফুল গাছ এই ফুল গন্ধ সবার কাছে পরিচিত। মনভোলানো গন্ধ যে কারও নজর কেড়ে নিয়ে আসবে। সাদা ফুলগুলি পুজোর আলোর সময় আলাদা দেখতেও লাগবে। বাস্তু অনুসারে এই গাছ অনেক ইতিবাচক শক্তি বয়ে আনে।
অ্যালোভেরা গাছ: এই গাছের সম্পর্কে আলাদা করে কিছু বলার নেই। কিন্তু জানেন কী, এই গাছ সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। বারান্দায় রাখলেও দেখতেও সুন্দর রাখে।
ড্যাফোডিল: বাস্তু অনুসারে বারান্দায় রাখার জন্য এই গাছের তুলনা হয় না। যেমন সুন্দর তেমন ভাবেই উদ্ভিদটি বিশ্বাস, সত্য এবং ক্ষমার প্রতীক বহন করে। তবে গাছটিকে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে রাখতে হবে, এটা যেন খেয়াল থাকে।
জেড: ছোট দেখতে সুন্দর এই গাছ বারান্দায় রাখতেই পাড়েন। দক্ষিণ–পূর্ব দিকে রাখতে হবে। এটি ঘরের বৃদ্ধি বয়ে আনে।
গোল্ডেন পোথাস: নেতীবাচক শক্তি দুর করতে এই গাছের জুড়ি মেলা ভার। বাড়ির বারান্দায় থাকলে তা তাড়াতাড়ি বেড়ে যাবে। দেখতেও সুন্দর লাগবে।