প্রতীকী ছবি।
রবিবার হোক কী অন্য ছুটির দিন, বাঙালির গৃহকোণে সারা বছরই অতিথির আসা যাওয়া। আর পুজোর সময় হঠাৎ করে বন্ধুবান্ধব চলে আসাটা প্রায়ই ঘটে যায়। তেমন খবর যদি আচমকা পেয়ে যান এবং ঘরদোর থাকে এললোমেলো, চটজলদি ঘর গুছিয়ে নেবেন কী করে? রইল কিছু পরামর্শ।
বসার ঘরের সাজবদল
হুট করে অতিথি এলে, সবার আগে তাঁদের বসার ঘরেই বসানো হয়, তাই বসার ঘর ঠিকঠাক থাকাটা সবার আগে দরকার। বসার ঘরের সোফাসেট থাকলে চট করে পরিষ্কার করে নিন। অনেকের বাড়িতে আজকাল ছোট্ট বিছানা থাকে বসার ঘরেই, তাতে উজ্জ্বল রঙের চাদর পেতে নিন। তারপর সোফা হোক বা বিছানা, রঙিন কিংবা কারুকাজ করা কুশন দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন জায়গাটা। দেখবেন এতেই বসার ঘরের চেহারা পালটে গেছে অনেকটা।
টেবিল সাজিয়ে নিতে পারেন অন্যভাবে
বসার ঘর, খাবার ঘর কিংবা শোওয়ার ঘরে নানা ধরনের ছোট-বড় টেবিল থাকে সবার বাড়িতেই। হুট করে এরকম ঘর সাজানোর দরকার হলে টেবিলগুলি সাজিয়ে নিন। বসার ঘরের মাঝের টেবিলে ফুল, সুগন্ধি মোমবাতি বা পউপুরি বাটিতে করে রেখে সাজিয়ে ফেলুন। খাবার টেবিলে অতিথেদের খাওয়ার জন্য ভাল থালা-বাটির সেট বের করে সাজিয়ে রাখুন। টেবিলের মাঝখানে থাক কারুকাজ করা ব্রোঞ্জ বা পেতলের মোমদানি। এতেই দেখবেন পালটে গেছে ঘরের ভোল।
আলোর খেলায় ঘর মাতুক
ঘরে কটকটে টিউবলাইট বা অন্য কোনও কড়া আলোর বদলে নরম হলদে আলো, স্পট লাইট বা সিলিং-এ লাগানো আলো থাকলে সন্ধের সময় জ্বালিয়ে দিতে পারেন। তাতে পরিবেশ হয়ে উঠবে মায়াময়। ঘর অনেক অভিজাত ও গোছানো দেখাবে।
ঘরে টাঙাতে পারেন কাজ করা ফুরফুরে পর্দা
অনেকদিন ঘরে একই পর্দা টাঙানো আছে। বদলানোর সময় পাচ্ছেন না? এই সুযোগ, পর্দা বদলে ফুরফুরে নতুন সাদা বা অল্প কারুকাজ করা সুতির এক ঢালা পর্দা টাঙিয়ে নিন ঘরে, ঘরের মেজাজটাই পালটে যাবে এতে।
সবুজের ছোঁওয়া থাক ঘরে
যদি আপনার বাগানের শখ থাকে, তাহলে এই সময়ে অনায়াসে নিজের বাগানের সুন্দর ফুলগাছ বা বনসাই দিয়ে চট করে সাজিয়ে নিন সিঁড়িঘর, বসার ঘর বা বারান্দা আশপাশ। অতিথি মুগ্ধ হবেন।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।