Durga Puja Celebration 2018

ঘরের রং হোক শরতের আকাশের মতো মন ভাল করা

আধুনিক অন্দরসজ্জায় ঘরের ভিতরের রং হাল্কা রাখাটাই স্মার্টনেস। ডিমের খোলসের উপরের অফ হোয়াইট রঙটা থেকে জাস্ট এক শেড বেশি।

Advertisement

সুদীপ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৩৭
Share:

রঙিন স্বপ্নে সাজুক দেওয়াল।

রঙিন স্বপ্ন দেখাই যায়। রঙিন জীবনে অভ্যস্ত হওয়াই যায়। রঙিন জলে মেতে ওঠাই যায়। কিন্তু খুব রঙিন বাড়ির রং? না, না এক্কেবারেই নয়।

Advertisement

আসলে বাঙালিদের জীবনে দেওয়ালের রং এবং রঙের মিডিয়ামের বিবর্তন হয়েছে বারবার। বহুদিন আগেই সুন্দরবনের দিক থেকে চুন নিয়ে আসা হতো। সেই কলিচুনে রং করা হতো ঘর।

দিন বদলেছে। এখন রং অনেক আধুনিক হয়েছে। রং করার আগে, দেওয়ালকে একেবারে মসৃণ করে নেওয়া হচ্ছে আজকাল। খরচও হচ্ছে কিছু বেশি। কিন্তু বাঙালি কোনকালে নিজের সখের জন্যে খরচের কথা ভেবেছে!

Advertisement

আরও পড়ুন: জুতোও রাখতে পারেন ওয়ার্ডরোবে

উৎসবের মরশুমে যখন রঙিন হবে চারপাশ, আপনার দেওয়ালকেও রঙিন করে দেওয়া যেতে পারে। শ্বেতশুভ্র আবরণে, মন ভাল করা আবেশে সাজিয়ে তোলা যেতে পারে।

আধুনিক অন্দরসজ্জায় ঘরের ভিতরের রং হাল্কা রাখাটাই স্মার্টনেস। ডিমের খোলসের উপরের অফ হোয়াইট রংটা থেকে জাস্ট এক শেড বেশি। এটাই বেস কালার।কেউ আবার খুব সাদাও করেন। কিংবা আইভরি, অ্যাপল হোয়াইট কালার প্লেটটার দিকেও কারও কারও নজর থাকে।

অফ হোয়াইট কালার স্কিম যখন ব্যবহার করবেন, সিলিং-এ শ্বেতশুভ্র কালার টোন রাখবেন। সামান্য পার্থক্য থাকবে দুটো কালার টোনে। ভাল লাগবে। সিলিং আর দেওয়ালের মিলনের জায়গায় কোন বর্ডার দেবেন না। দেখতে ভাল লাগে না।

আরও পড়ুন: এ বার পুজোয় মোমের আলোয় মাতুন প্রেমে​

বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি অনেকের বাড়িতেই, চারটে দেওয়ালের মধ্যে তিনটে দেওয়ালে এক রং। চতুর্থ দেওয়ালে অন্য রং লাগানো রয়েছে। এখন যদিও এসবের আর চল নেই। ব্যাকডেটেড হয়ে গিয়েছে। হয় চার-দেওয়ালে একটাই শেড কিংবা তিন দেওয়ালে এক শেড এবং চার নম্বর দেওয়ালটায় ওয়াল পেপার অথবা আর্টিস্টিক পেইন্ট বা হাইলাইটার লাগাতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে থ্রিডি ছবিও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ড্যাম্প ওয়াল সামলানোর পুরোপুরি সল্যুশন এখনও পাওয়া যায়নি। যদিও রঙের সঙ্গে কিংবা দেওয়ালে মেশানোর জন্য বেশ ভাল প্রোডাক্ট বাজারে রয়েছে। পুরনো ড্যাম্প ওয়াল থাকলে প্রথমে প্লাস্টার ছাড়িয়ে কয়েকদিন দেওয়ালটাকে শুকিয়ে নিন। তারপর সল্যুশন দিয়ে প্লাস্টার এবং রং।

আমি একটা অন্যরকম আইডিয়া দিতে পারি। ড্যাম্প দেওয়াল ছাড়িয়ে প্ল্যাস্টার করে নেট সিমেন্ট করে নিন। একটু মাটির দেওয়ালের মত বানাবেন। রাফ সার্ফেস হলেও কিচ্ছু যায় আসবে না। তারপর সেই দেওয়ালটায় অয়েল পেইন্ট, কিংবা অ্যাক্রেলিক পেইন্ট দিয়ে ছবি আঁকিয়ে নিন। খুব ভারি কিছু আঁকাবেন না। একটু ফাঁকা ফাঁকা কিছু রিলিফ ওয়ার্ক। দেখবেন, দারুণ দেখতে লাগবে। আপনার বাড়ির যদি কেউ ভাল আঁকতে পারে তাকে দিয়ে কাজটা করিয়ে নিন। বাইরের লোক চমকে যাবে। বেশ কিছু বছর ড্যাম্পও লাগবে না।

ছবি সৌজন্যে: লেখক।

(লেখক অন্দরসজ্জা বিশেষজ্ঞ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement