ইতিমধ্যে আবহাওয়ার বদল শুরু হয়েছে। রাতে বা ভোরের দিকে বাতাসে এখন হাল্কা হিমেল পরশ। বিশেষ করে পুজোর পর থেকেই আস্তে আস্তে এই পরিবর্তন অনুভব করা যায়। এই অবস্থায় বাতাসও বেশ দূষিত হতে শুরু করে। সামনেই আলোর উৎসব কালীপুজো ও দীপাবলি। চারপাশে লাগাতার পুড়বে আতসবাজি, ফাটবে বোমা। তার বিষাক্ত ধোঁয়া বায়ুর গুণগত মানকে ঠেলে দেবে আরও খারাপের দিকে।
এই সময়ে দূষণমুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চাইলে আপনার দরকার একটি এয়ার পিউরিফায়ার। যা বাড়িতে অন্তত আপনাকে দেবে নির্মল বাতাস। তবে অনেক সংস্থারই এয়ার পিউরিফায়ার আছে বাজারে, যার মধ্যে থেকে ভাল মানের যন্ত্র বেছে নেওয়া জরুরি। আর তাই বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার কেনার আগে কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
১) ঘরের আকারের উপর নজর দেওয়া: সব বাড়িতে ঘরের আকার বা গঠন এক নয়। বিশেষত বড় ঘরের জন্য চাই উচ্চক্ষমতাযুক্ত মডেলের পিউরিফায়ার।
২) সঠিক ফিল্টার নির্বাচন: পিউরিফায়ারের ফিল্টারের উপরে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। দেখতে হবে তা যেন ধুলো, ধোঁয়া, গন্ধ এবং অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ থেকে রক্ষা করতে পারে।
৩) বায়ু পরিবর্তনের হার সম্পর্কে সচেতনতা: বায়ু পরিবর্তনের হারই নির্ধারণ করে একটি ঘরে একটি পিউরিফায়ার এক ঘণ্টায় ভিতরকার বাতাস কতটা পরিষ্কার রাখছে।
৪) অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ফিল্টার যাচাই: পিউরিফায়ার কেনার সময়ে অবশ্যই দেখে নিতে হবে এতে অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ফিল্টার আছে কি না। কারণ, এটি বাতাসে উপস্থিত বিভিন্ন ক্ষতিকারক বিষাক্ত গ্যাস, দুর্গন্ধ ইত্যাদি শোষণ করে।
৫) CADR রেটিংয়ে নজর: CADR অর্থাৎ ক্লিন এয়ার ডেলিভারি রেট (Clean Air Delivery Rate)-এর বিষয়টি অতি অবশ্যই দেখে নিতে হবে। এটি নির্ধারণ করে যে পিউরিফায়ারটি এক মিনিটে কত ঘনফুট বাতাসকে ফিল্টার করতে পারছে। যে ফিল্টারের CADR -এর মান যত বেশি হবে, তার বায়ু শোধনের ক্ষমতাও বেশি হবে।
৬) ডেসিবেলের বিষয়ে সতর্কতা: যন্ত্রটির আওয়াজের দিকেও নজর দিতে হবে আপনাকে। ৪৫ থেকে ৫০ ডেসিবেলের মধ্যেই যেন তার আওয়াজ সীমাবদ্ধ থাকে, তা নিয়ে সতর্ক হতে হবে। না হলে এই যন্ত্র আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
৭) AQI মনিটর যুক্ত মডেল নির্বাচন: এই মনিটর থাকা মানে যন্ত্রটি চলাকালীন আপনি বাতাসের গুণগত মান নিজে দেখতেপারবেন।
৮) গ্রাহক পরিষেবার খরচ বিবেচনা: পিউরিফায়ার ফিল্টার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এক এক সংস্থার গ্রাহক পরিষেবার খরচ এক এক রকম হয়। তাই সব কিছু বিবেচনা করে কেনাই ভাল। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ