প্রতীকী চিত্র
কলা পাতায় খাবার খেতে কে না ভালবাসে? ঝকঝকে সবুজ পাতায় আপনি যে খাবারই খান না কেন, তার স্বাদ যেন আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়! আগে প্রায় যে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতেই কলা পাতায় খাবার খাওয়া ছিল চেনা ছবি। ইদানীং সেই অভ্যাস প্রায় হারাতে বসেছে। তবু কেউ কেউ শখের বশে দু’এক দিন এই পাতাতেই বেড়ে দেন খাবার, বিশেষত বাড়িতে পুজো থাকলে।
এ বছর লক্ষ্মীপুজোতে আপনিও কিন্তু ভোগ-প্রসাদ বা বাড়ির খাবার পরিবেশন করতে পারেন কলা পাতায়। এতে ঐতিহ্যের ছাপ তো থাকবেই, সঙ্গে খাওয়ার পাতও সেজে উঠবে খুব সুন্দর ভাবে। কিন্তু জানেন কি, কলাপাতায় খাওয়ার এই প্রচলন নিছক রীতি নয়। বরং কলা পাতায় খাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে তার কিছু বৈজ্ঞানিক গুণাগুণ যা আপনার শরীরকে নানা ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
১) কলাপাতায় রয়েছে পলিফেনল নামে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা খাবারের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করলে মানবশরীরের দীর্ঘমেয়াদি রোগগুলির প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষত এটি মারণ রোগ ক্যানসারের কোষবৃদ্ধি ঠেকায়।
২) পেটের কোনও ক্রনিক সমস্যা বা বদহজম জনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগছেন? তা হলে কলা পাতায় খাওয়া আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এই পাতায় থাকে অ্যালোয়েন্টাইন নামে একটি উপাদান, যা এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
৩) দক্ষিণ ভারতে বিভিন্ন জায়গায় কলা পাতায় খাবার খাওয়াকে রূপচর্চার অঙ্গ হিসাবেও ধরা হয়। কারণ, কলা পাতায় থাকা কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীর থেকে টক্সিন বার করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক।
৪) কলা পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ফলে যাঁরা নিয়মিত সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা রোজ কলা পাতায় খাওয়া শুরু করলে ভাল ফল পাবেন।
৫) কলা পাতার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত কলা পাতায় খাবার খাওয়া অভ্যাস করতে পারেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।