সামনেই দীপাবলি। আর তার আগেই সারা ভারত জুড়ে পালিত হয় ধনতেরস। এই ধনতেরসের সময়ে সোনা ও রূপার গয়না বা বাসনপত্র কেনার প্রথা রয়েছে। তাই এই উৎসবের আগে অর্থাৎ দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই শুরু হয়ে যায় সোনা কেনার তোড়জোড়। দোকানে দোকানে লম্বা লাইন পড়ে যায় ক্রেতাদের।
আপনিও কি এ বছর ধনতেরসে সোনার গয়না কেনার পরিকল্পনা করেছেন? তা হলে অবশ্যই সোনা কেনার আগে কয়েকটি বিষয়ের উপরে বিশেষ নজর দিতে হবে। তা না হলে আপনাকে পড়তে হতে পারে নানা সমস্যায়।
প্রথমত, সোনা কেনার সময়ে যে বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখতে হবে, তা হল– যে সোনা আপনি কিনবেন, তা হলমার্ক কি না।
এই হলমার্ক হল ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস)-এর অনুমোদিত বিশুদ্ধ সোনার সিলমোহর। কেনার সময়ে প্রস্তুতকারকের লোগো যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হলমার্ক-এর এই লোগো।
দ্বিতীয়ত, সব সময়ে বর্তমান পারিবারিক অবস্থা ও বাজেটের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে তবেই সোনা কেনা উচিত। কারণ, বাজেট ছাড়িয়ে বেশি টাকার সোনা কিনলে আপনার পরবর্তী পরিকল্পনাগুলির উপরে তার প্রভাব পড়তে পারে। তাই অবশ্যই পরিবারের মাসিক বাজেট মাথায় রেখে সোনা কেনার পরিকল্পনা করুন।
অবশ্যই যেখানে সোনার দাম আলোচনা সাপেক্ষ এবং ডিজাইন ও বাজারদরের উপর নির্ভর করে, সেই সব জায়গা থেকেই তা কেনা শ্রেয়।
তৃতীয়ত, অনেক দোকানে আপনার কেনা গয়নার উপরে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) ছাড়াও তার সঙ্গে মেকিং চার্জ যোগ করা হয়, যা দোকান ভেদে ভিন্ন। তাই গয়নার মূল দামের থেকে বেশি মূল্য আপনাকে দিতে হয়।
চতুর্থত, সোনার গয়না হোক বা রুপোর গয়না, সব সময়ে বিশ্বস্ত দোকান থেকেই কেনা ভাল। তা না হলে পরবর্তীতে অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর কারণ হল প্রচুর কালোবাজারি ব্যবসাদার ধনতেরসের সময়ে সোনার সঙ্গে অন্যান্য ধাতু মিশিয়ে বিক্রি করেন, যা একদম অবৈধ।
পঞ্চমত, সোনার গয়না শুধু আপনার শোভা বাড়ায় না, তা আপনার ভবিষ্যতের পুঁজি। সঙ্কটের সময়ে এই গয়না আপনাকে বিভিন্ন দিক থেকে সাহায্য করে। তাই সোনা যাতে ভবিষ্যতে পুনরায় বিক্রয়যোগ্য হয়, সে দিকটা মাথায় রেখে বিশুদ্ধ সোনাই কেনা জরুরি। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।