রান্না হোক বা পুজো, বাঙালি বাড়িতে তিলের ভূমিকা সব সময়েই বেশ বড়সড়।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনেও নারকেল নাড়ুর পাশাপাশি বানানো হয়ে থাকে তিলের নাড়ু।
তিল ও গুড়ের মিশেলে বানানো এই নাড়ু যেমন সুস্বাদু, ঠিক তেমনই কিন্তু এর স্বাস্থ্যগুণও অনেক।
তিল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তিলের মধ্যে যে স্বাস্থ্যকর স্নেহপদার্থ থাকে, তা পরিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে এবং অর্শের মতো ক্রনিক অসুখ দূরে রাখে।
তিলের মধ্যে থাকা মিথাইওনাইন লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
লক্ষ্মীপুজোর তিলের নাড়ু সাদা তিল দিয়ে তৈরি হয়। এই সাদা তিলে ট্রাইপ্টোফ্যান থাকে, যা ত্বক ও চুল ভাল রাখে।
তিলের মধ্যে থাকে ভিটামিন ই, যা অকাল বার্ধক্য দূরে রাখে।
সাদা তিলে থাকা ক্যালসিয়াম রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম ছাড়াও তিলের নাড়ু ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কে ভরপুর, যা হাড় মজবুত করে।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও তিলের জুড়ি মেলা ভার। এর মধ্যে থাকে লেসাইথিন, যা মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়।
গুড় এবং তিল একসঙ্গে শরীরে প্রোটিন জোগায়।
গুড় থাকার কারণে তিলের নাড়ু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। তাই ব্লাড সুগারের রোগীরাও এই নাড়ু নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।
তিলের নাড়ুর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হৃদরোগ দূরে রাখে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।