বয়স বাড়ছে। চাইছেন তবু শরীরে থাকুক তারুণ্যের সজীবতা? পুজোর সময়ে সাজগোজ-মেকআপে, ইচ্ছেমতো খাওয়াদাওয়ায় দেদার অনিয়ম হয়েছে। এ বার চেনা চেহারাতেও তো ফিরতে হবে। ৩৫ পেরিয়েও তিনি যেন ঝলমলে তরুণী! কী করে? টিপস্ দিচ্ছেন খোদ টলিপাড়ার অন্যতম ফ্যাশন আইকন মনামী ঘোষ। বলছেন, ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপাদানেই।
বয়স ৩০-এর চৌহদ্দি পার করলেই তার ছাপ পড়তে শুরু করে চোখে-মুখে। কারও মুখে বলিরেখা স্পষ্ট, তো কেউ হারিয়েছেন ত্বকের তারুণ্য। বাজারচলতি নামী ক্রিম বা প্রসাধনী কাজে লাগলেও এর স্থায়ী সমাধানে চাই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। সঙ্গে চাই ত্বকের পাশাপাশি শরীর এবং মনেরও যত্ন, পরামর্শ মনামীর।
অভিনেত্রী জানান, আলাদা করে ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে হয় না তাঁকে। বরং তাঁর প্রধান ভরসা ঘরোয়া খাবারেই। আনন্দবাজার অনলাইনকে মনামী বলেন, “আমার ত্বক কিছুটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলেও মনে করি। তবুও যত্ন নিতেই হয়। আমার কাছে খাওয়াদাওয়াটাই মূল বিষয়। তেল-ঝাল-মশলা কিছুটা এড়িয়েই চলি। বরং সবটাই সেদ্ধ খাই।”
“এ ছাড়াও নিয়মিত শরীরচর্চা তো রয়েছেই। পাশাপাশি আমি নাচও করি। দিনশেষে ত্বকের একটু যত্ন নিতেই হয়। তবে সেটা একেবারেই সামান্য। আমরা সবাই মেকআপ করি। সেটাকে ঠিক সময়ে ভাল করে পরিষ্কার করা, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ইত্যাদি করি,” বললেন অভিনেত্রী।
ভাবছেন ফেশিয়াল ছাড়া গ্লো পাওয়া সম্ভব নয়? একটা মজার বিষয় জানেন? জীবনে এক বার প্রচার সূত্রে ছাড়া কোনও দিনই নাকি ফেশিয়াল করেননি মনামী। তিনি বলেন, “এক বার একটি ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্য খালি ফেশিয়াল করেছিলাম। আমি মনে করি কোথাও গিয়ে ফেশিয়াল করার থেকে বাড়িতে বসে নিজের মতো করে মাসাজ করা অনেক ভাল। ত্বক অনেক উজ্জ্বল হয়।”
এ তো গেল ত্বকের কথা। ত্বকের পাশাপাশি শরীরের যত্নও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। বরাবরই ফিটনেসের ক্ষেত্রে সচেতন মনামী ঘোষ। পুজোর মাসে জমিয়ে খাওয়াদাওয়ার ফাঁকেও কী ভাবে থাকবেন স্বাস্থ্য সচেতন? সেই উত্তরও আছে অভিনেত্রীর কাছে।
মনামী বলেন, “সব সময়ে বাড়ির খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে উপায়ও থাকে না। কিন্তু যখন বাড়িতে থাকছি, তখন চেষ্টা করি খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে। তাতে পুজোর পাঁচটা দিন যদি অনিয়ম হয়, তা হলে সমস্যা নেই।”
মনামীর কমফর্ট ফুড কী? অভিনেত্রীর সোজাসাপটা জবাব, “আমি ভাত, ডাল, আলুপোস্ত খেয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে পারি! ভাতের সঙ্গে আলু সেদ্ধ, ডিম সেদ্ধ আর ঘি, ব্যস! তাহলেই হবে।”
ত্বক আর শরীরের জন্য টিপস্ যখন পেয়েই গিয়েছেন, তা হলে ফ্যাশনে বাধা কোথায়? সামনেই তো কালীপুজো। কী টিপস্ দিচ্ছেন মনামী?
অভিনেত্রী বলেন, “বাঙালি কোনও অনুষ্ঠান মানেই আমার কাছে বাঙালি সাজ। যদি আমার কোথাও বেরোনোর থাকে ওই দিন, তা হলে আদ্যোপান্ত বাঙালি সাজেই সাজব।”