প্রতীকী চিত্র
বিজয়া করতে মাঝেমধ্যেই অতিথি আসছে বাড়িতে? এ দিকে, দুর্গাপুজোর পর তো পকেট ফাঁকা। অনলাইনে খাবার অর্ডার করে লোক খাওয়াতে গেলেও অনেকটা খরচের ধাক্কা। তাই বাড়ির খাবারেই বরং ভরসা রাখুন উৎসবের মরশুমে।
শুধু নিরামিষে অতিথি আপ্যায়ন করতে ভালবাসে না বাঙালি। তাই আমিষের বন্দোবস্ত করতেই হয়! এ বার বিজয়ায় তাই নতুন ধরনের এই বাঙালি পদ রান্না করে ফেলুন। চেটেপুটে খাবেন সকলে!
কেবল বাঙালি নয়, খাস বাঙাল পদ। ওপার বাংলার এই রান্না সচরাচর করেন না কেউই। আপনিই না হয় ছক ভেঙে কম উপকরণে বানিয়ে ফেলুন ইলিশের লেজা ভর্তা।
ইলিশের লেজা মানেই কাঁটার ভয়। এমনকি লেজার আগের টুকরোও খুব একটা পছন্দ নয় কারও। যাঁর পাতে পড়ে, তার ইলিশ খাওয়ার আনন্দই মাটি। বাংলাদেশের মাওয়া ঘাটে কিন্তু এই টুকরো দু’টিই বাড়তি তিন গুণ স্বাদের হাতছানি দেয়। সেখানকার মতো করেই রেঁধে দেখুন।
প্রথমে ইলিশের টুকরো দু’টি কড়া করে ভেজে নিন। একটু ঠান্ডা হলে কাঁটা ছাড়িয়ে নিন। হাত দিয়ে এ কাজ একটু কষ্টসাধ্য। গ্লাস বা বাটির পিছন দিয়ে চাপ দিয়ে তুলনামূলক ভাবে কম কষ্টে কাঁটা ছাড়ানো যায়।
দ্বিতীয় ধাপে আলাদা আলাদা করে পরিমাণ মতো বোঁটাসুদ্ধ শুকনো লঙ্কা, ১৫-১৬ কোয়া রসুন, দু’টো মাঝারি মাপের পেঁয়াজ ভেজে নিতে হবে। তবে পেঁয়াজ ভাজাটা খুব কড়া অর্থাৎ বেরেস্তা যেন না হয়ে যায়।
তৃতীয় ধাপে আগে বোঁটা ছাড়িয়ে একটু নুনের দিয়ে শুকনো লঙ্কা আগে বেশ ভাল করে মেখে প্রায় গুঁড়ো করে নিন। এ বার এর সঙ্গে পরপর রসুন, পেঁয়াজ ভালো করে মাখুন। শেষে যোগ করুন কাঁটা ছাড়ানো ইলিশ মাছ। একসঙ্গে খানিকক্ষণ মেখে যখন মিহি/ নরম হয়ে আসবে, তখন মেশান কাঁচা সরষের তেল। আবারও ভাল করে মাখলেই তৈরি ইলিশের লেজা ভর্তা!
বাটিতে ভর্তা তুলে রেখে এ বার নিজের আঙুল চাটবেন নাকি?
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।