Bengali Kosha Mangsho Eateries

লাগাতার বৃষ্টি অথচ সামনেই কালীপুজো, এমন ভেজা উৎসবের মরসুমে কোথায় পাবেন কষা মাংস?

দীপাবলির উদযাপনে ঘর সাজিয়ে, আতশবাজির উৎসবে যখন মেতে থাকে মানুষ, হেঁশেলও ভরে থাকে নানা ধরনের আমিষ পদে। মাছে ভাতে বাঙালির কালীপুজোয় জায়গা করে নেয় মাংস। নিরামিষ থেকে আমিষ, বাঙালির খাদ্য তালিকায় কষা মাংসের কোনও বিকল্প নেই। যুগ যুগ ধরে লুচি হোক বা ভাত, বাঙালির মনে এই পদের পাকাপাকি বসত।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:১০
Share:
০১ ১১

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ঝড়বৃষ্টির দাপটে এই মুহূর্তে বহু মানুষই ঘরবন্দি। এ দিকে, দেখতে দেখতে এগিয়ে আসছে কালীপুজোও। আরও এক বার জম্পেশ খাওয়াদাওয়ার পালা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-পরিজন মিলে। দীপাবলির উদযাপনে ঘর সাজিয়ে, আতশবাজির উৎসবে যখন মেতে থাকে মানুষ, হেঁশেলও ভরে থাকে নানা ধরনের আমিষ পদে। মাছে ভাতে বাঙালির কালীপুজোয় জায়গা করে নেয় মাংস। নিরামিষ থেকে আমিষ, বাঙালির খাদ্য তালিকায় কষা মাংসের কোনও বিকল্প নেই। যুগ যুগ ধরে লুচি হোক বা ভাত, বাঙালির মনে এই পদের পাকাপাকি বসত।

০২ ১১

কলকাতা শহরে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র কষা মাংসের দোকান। তার এক এক জায়গায় রান্নার পদ্ধতি আলাদা। জিভে জল আনা কষা মাংস যে রেস্তরাঁগুলিতে পাওয়া যায়, রইল তাদের সন্ধান।

Advertisement
০৩ ১১

গোলবাড়ি - শ্যামবাজারের প্রাচীন এই রেস্তরাঁটি একেবারে পাঁচ মাথার মোড়েই। লোকে বলে, কলকাতায় কষা মাংসের উৎপত্তি হয়েছিল এদের হাত ধরেই। এই রেস্তঁরায় পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করা হয় কষা মাংস। কালীপুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে বেরোলে এই দোকানের কষা মাংস কিন্তু খেতেই হবে এক বার!

০৪ ১১

কষে কষা - ২০০৬ সালে উত্তর কলকাতার হাতিবাগানে যাত্রা শুরু হয়েছিল এদের। ‘গোলবাড়ি’ দোকানটির কিছু পুরনো কর্মচারী মিলেই এই রেস্তরাঁটি গড়ে তোলেন। তাই অনেকে বলেন, গোল বাড়ির কষা মাংসের স্বাদ অনেকাংশেই মিলে যায় এই রেস্তরাঁর পদের সঙ্গে। একবার খেলে যা মুখে লেগে থাকবে!

০৫ ১১

ওহ! ক্যালকাটা- বাঙালি খাবার-দাবারের অন্যতম সেরা ঠিকানা ‘ওহ! ক্যালকাটা’। নানা বাহারি বাঙালি পদ রয়েছে ভাঁড়ারে। এখানকার কষা মাংস পদটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভাত, পরোটা, লুচি, ফ্রাইড রাইস– যে কোনও কিছুর সঙ্গেই একদম লা-জবাব জুটি!

০৬ ১১

ভজহরি মান্না- কলকাতার সেরা বাঙালি রেস্তোরাঁ চেনগুলির অন্যতম এটি। গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, সল্টলেক– অনেক জায়গাতেই এদের আউটলেট রয়েছে। বাঙালি পদের সাজানো পসরায় মাটন কষা এদের সিগনেচার ডিশ।

০৭ ১১

আহেলী - বাঙালি খাবারের আর এক ঐতিহ্যবাহী ঠিকানা। ভোজনবিলাসী বাঙালি কষা মাংস খেতে এই রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারেন প্রায়শই। আত্মীয়-পরিজন সহযোগে কালীপুজোর ছুটিতে আপনিও এক বার ঘুরে আসতেই পারেন।

০৮ ১১

কস্তুরী - ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই রেস্তরাঁ বাঙালি খাবার পরিবেশন করে আসছে। মোটামুটি এখানকার সব খাবারই বেশ জনপ্রিয়। তবে কষা মাংস সব থেকে বেশি জায়গা করে নিয়েছে খাদ্যরসিকদের পছন্দে।

০৯ ১১

কিউপিজ়- রেস্তরাঁটি ছোট হলেও এদের রান্নার স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। ঘরোয়া স্টাইলে কষা মাংস রান্না একেবারে তাক লাগিয়ে দেয়। খাসির মাংসের জন্য এদের সুনাম। ছোট বাটিতে যখন কষা মাংস যখন সামনে এসে হাজির হবে, জিভে জলের গ্যারান্টি!

১০ ১১

৬ বালিগঞ্জ প্রেস- আভিজাত্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন এই রেস্তরাঁটি। নিজস্ব স্টাইলে কষা মাংসে বৈচিত্র এনেছে জনপ্রিয় এই দোকান। এখানে গেলে অবশ্যই চেখে দেখুন কষা মাংস। সঙ্গে ভাত, লুচি বা পরোটা।

১১ ১১

ষোলো আনা বাঙালি - প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড-সহ একাধিক জায়গায় আছে এই রেস্তোরাঁর শাখা। হরেক বাঙালি পদের ভিড়ের মাঝে অবশ্যই কষা মাংস স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছে এদের মেনু কার্ডে। তা হলে আর দেরি কীসের? এই কালীপুজো জমে যাক কষা মাংসে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement