কাল রবিবার। ইডেনে ভারতের খেলা আর জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। ব্যস আর কী চাই বলুন তো? তার মধ্যে এখন আবার পুজোর মরসুম। তাই জমাটি খানা না হলে চলে না। বলি কী, এই রবিবারের দুপুরটায় বাড়িতেই কাটান। সঙ্গে মেনুতে ভাতের সঙ্গে রাখুন এই সব পদ।
প্রথমেই বলি ভাতের ব্যপারে। এমনি নয় বরং রবিবারের পাতে থাকুক সুগন্ধি বাশকাঠির চাল। তা হলে যেন দ্বিগুণ হয়ে যায় খাওয়ার আনন্দ। আর গরম ভাতে যদি একটু ঘি পড়ে তো, আহা! আহা!
বাঙালির খাওয়া দাওয়া আর প্রথম পাতে একটু তেতো থাকবে না, তা কি হয়? যদি সম্ভব হয় বড়ি এবং ডাটা দিয়ে শুক্ত থাকুক মেনুতে। আর যদি শুরুতেই পেট ভরাতে না চান, তা হলে নিদেন পক্ষে উচ্ছে ভাজা রাখতে পারেন।
তার পরে ডাল। সে আপনি আপনার পছন্দের যে কোনও ডাল নিতে পারেন। মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল অথবা পেয়াজ, রসুন আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে মুসুর ডাল।
সঙ্গে রাখতে পারেন যে কোনও একটি চচ্চড়ি। এখন বাজারে নানা ধরনের শাকের মেলা। বিশেষ করে পালং শাক। মাছের মাথা এবং কুমড়ো দিয়ে তৈরি করে নিন চচ্চড়ি।
যদি ভাজার ভক্ত হন, তা হলে ঝুরো ঝুরো করে আলু কেটে ভেজে নিন। অথবা আলু, বেগুন, পটল, কুমড়ো, ফুলকপি পাঁচ রকমের ভাজাও করতে পারেন।
এর পর সময় নষ্ট নয় সোজা চলে আসুন আমিষ খাবারে। আপনার যে মাছ ভাল লাগে সেই মাছ নিয়ে আসুন বাজার থেকে। তার পর হালকা কোনও পদ বানিয়ে বানিয়ে নিন সেই মাছের। তবে পাবদা বা ভেটকির জায়গায় পাতে পোনা মাছের হালকা ঝোল থাকাই ভাল। তাতে বেশি গুরুপাক হবে না।
এই বার সেই শুভ ক্ষণ। পাতে এসে পরুক সটান চর্বিওয়ালা দুটি পাঁঠার মাংসের পিস (চর্বি পছন্দ না হলে যেমন মাংস পছন্দ সেই ভাবেই কিনে আনুন বাজার থেকে)। সঙ্গে একটি আলু। আর লাল লাল ঝাল ঝাল মাংসের ঝোল। উপরে একটু গন্ধরাজ লেবু চিপে নিন। অবশ্য পাতি লেবুও চলবে। ব্যস। এরপর মুখে গেলেই স্বর্গ।
তবে অনেকেই আবার পাঁঠার মাংস পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে বরং কষিয়ে রাধুন মুরগির মাংস। আলু দিয়ে রান্না করলেই যেন ভাল। ঝাল মুরগির মাংস আর ভাত।
আর যদি কোনও মাংসই পছন্দ না হয় তখন না হয় পাতে নিয়ে নিন অন্য আরেকটি মাছ। বিশেষ করে যদি গলদা চিংড়ির কোনও পদ হয় তা হলে তো কথাই নেই। অথবা বাগদা চিংড়ির ভাপা। উপরে ছড়ানো চেরা কাঁচা লঙ্কা আর সরর্ষের তেল।
শেষ পাতে চাটনি না হলে ঠিক জমে না দুপুরের খাওয়া। এখন বাজারে খুব ভাল জলপাই পাওয়া যাচ্ছে। সেটি এনেই বানিয়ে নিন টক মিষ্টি ঝাল মেশানো এই চাটনি। সঙ্গে বড একটি পাঁপড় ভাজা।
তারপর মুখ ধুয়ে একটি পান বা একটু মৌরী মুখে দিলেই ষোলো আনা পূর্ণ। তারপর আর কি, তাকিয়া নিয়ে বসে উপভোগ করুন বিশ্বকাপ। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।