কালীপুজোর দিন ভোগ হিসেবে মাংস দেওয়ার প্রথা রয়েছে বহু জায়গায়।
কিন্তু হিন্দু ধর্মের দেব-দেবীর পুজোয় ভোগ মানেই তো নিরামিষ। তা সে, খিচুড়ি-লাবড়া হোক কিংবা লুচি, পায়েস, সুজি।
তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই যে প্রশ্নটা মাথায় আসে, তা হল– মাংস কী ভাবে পুজোর ভোগ হয়ে উঠতে পারে।
যদিও বা তা হয়, তা হলে মাংস নিজে আমিষ হয়ে নিরামিষ কী করে হতে পারে! এ ধাঁধার উত্তর দেওয়ার আগে জেনে নেওয়া যাক কেন কালীপুজোর ভোগে মাংস দেওয়া হয়?
ঐতিহ্যগত ভাবে কালীপুজোয় বলির পাঁঠার মাংস রাঁধা হয়। সেটাই ভোগ হিসেবে মাকে নিবেদন করা হয়।
দেবীকে নিবেদনের পরে তা হয়ে যায় প্রসাদ, যা গ্রহণ করতে হয় উপস্থিত সকলকে। বলি দেওয়ার পরে মাংস ধোওয়ার নিয়মও নেই। পাতা দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। তার পরে তা রান্না করা হয়।
ভোগের রান্নায় কখনও পেঁয়াজ, রসুন ব্যবহার করা হয় না। তাই মাংস রাঁধার সময়েও এতে পেয়াঁজ, রসুন পড়ে না। সাধারণত, আদা এবং হিং দিয়ে রান্না করা হয় এই নিরামিষ মাংস।
কী ভাবে বানাবেন নিরামিষ মাংস? প্রথমে মাংসে আড়াই চামচ নুন, এক চামচ হলুদ বাটা এবং গোটা আদা বাটা দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। ম্যারিনেশনের সময়ে দইও দিতে পারেন।
কড়াইয়ে তেল গরম করে তেজপাতা এবং গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। এর পরে ম্যারিনেট করা মাংসের টুকরোগুলি কড়াইয়ে দিয়ে মোটামুটি ১৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন।
এক ঘণ্টা ঢেকে রাখার পরে ঘি সহযোগে আলুর টুকরো, পরিমাণ মতো নুন, হলুদ, ধনে এবং লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছু ক্ষণ পরে যতটা ঝোল চাইছেন, সেই মতো গরম জল দিয়ে বিট নুন, চিনি, পাঁচ ফোড়ন এবং কাঁচা লঙ্কা চিরে দিয়ে দিন।
আঁচ কমিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। মাংস নরম হয়ে গেলে পরিবেশন করুন। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।