মন মজে যাক প্যানকেক-এ
পুজোর উদযাপনের অপরিহার্য অঙ্গ খাওয়াদাওয়া। লুচি-আলুরদম থেকে শুরু করে পোলাও-কালিয়া, মহালয়া থেকে সেই যে শুরু হয় ভুরিভোজ, চলে একেবারে ভাইফোঁটা অবধি। একঘেয়েমি এসে গেলে স্বাদবদলের জন্য চেষ্টা করতেই পারেন বিদেশি কিছু রান্নায় হাত পাকানোর।
অল্প সময়ে রান্না করার একটি পদ হল প্যানকেক। মার্কিনি এই প্রাতঃরাশের উল্লেখ মেলে প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সাহিত্য থেকে শুরু করে শেক্সপিয়রের নাটকেও। মিষ্টিপ্রেমী হলে ঝটপট শিখে ফেলুন প্যানকেক রান্নার সহজ উপায়।
উপকরণ
প্রণালী
প্রথমে একটি বড় বাটিতে দু’টি ডিম ফেটিয়ে নিন। তাতে চিনি, নুন এবং দুধ মিশিয়ে সাদা তেল ঢালুন। রসনাকে আরেকটু প্রশ্রয় দিতে ইচ্ছে হলে তেলের বদলে কড়া গরম করে তাতে স্তিমিত আঁচে মাখন গলিয়ে নিয়ে ঢালুন মিশ্রণে। সুগন্ধের জন্য মেশান ভ্যানিলার নির্যাস। হুইস্কার দিয়ে ভাল ভাবে মিশ্রণটিকে নেড়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে ময়দা এবং বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন। এক হাতে মিশ্রণটি নাড়ানো বন্ধ না করে, অন্য হাতে ধীরে ধীরে এই ময়দা ও বেকিং পাউডারের মিশেলটি ঢালতে থাকুন। খবরদার! এক মুহূর্ত অসচেতন হয়ে হুইস্কার থামিয়ে দিলে মিশ্রণে তৈরি হবে ছোট ছোট ময়দার দলা, যা খেতে মোটেই সুখকর হবে না। আঠালো একটি ঘনত্বে না পৌঁছনো পর্যন্ত নাড়াতেই থাকুন।
এরপর একটি চাটু বা তাওয়ায় ব্রাশ দিয়ে সামান্য তেল লাগিয়ে নিন। তেল গরম হলে আপনার মিশ্রণ থেকে অর্ধেক কাপ তুলে নিয়ে তা চ্যাপ্টা গোলাকার আকারে বিছিয়ে দিন তাওয়ায়। মাঝারি আঁচে এক থেকে দেড় মিনিট রাখলে মিশ্রণে বুদবুদ তৈরি বন্ধ হয়ে যাবে। এই সময়ে খুন্তি নিয়ে অতি সাবধানে উল্টে দিন। একইভাবে মিনিট দেড়েক সেঁকে দু’দিকেই বাদামি রঙের হালকা রং এলে চাটু থেকে প্যানকেক নামিয়ে রাখুন থালায়। খেয়াল রাখবেন, সময়ের খানিক এদিকওদিক হলেই প্যানকেক কাঁচা থেকে যাবে বা পুড়ে যাবে। বাকি মিশ্রণটিও শেষ করুন এই ভাবে। পাঁচ-ছয়টি প্যানকেক তৈরি হলে সাজিয়ে রাখুন একটির উপর অন্যটি।
প্রথা অনুযায়ী, প্যানকেকের উপর মধু বা ম্যাপল সিরাপ ঢেলে পরিবেশন করা হয়। আপনি ইচ্ছে মত এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন কুচি করা স্ট্রবেরি, কালোজাম, চকলেটের টুকরো এবং আরও অনেক কিছু। তবে সাজসজ্জা বেশি ভারী না করলেই প্যানকেকের মূল স্বাদ ভাল ভাবে উপভোগ করা সম্ভব।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ।