‘হোয়াটসআপ?’
‘হোয়াটসঅ্যাপে আয়।’
‘আরে হোয়াটসঅ্যাপেই তো কথা বলছি’
‘আরে হোয়াটসঅ্যাপ ক্যাফে। দরকার আছে। আয়।’
জেন ওয়াইয়ের পুজোর প্রেমের সংলাপগুলোর শুরু বোধ হয় এ ভাবেই।
আরও পড়ুন: চারগ্রিলড পমফ্রেট উইদ লেডিস ফিঙ্গার অ্যান্ড বেল পেপারস, এ বার বাড়িতেই
গোলপার্ক থেকে সোজা যে রাস্তাটা রবীন্দ্র সরোবর লেকের পাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।মানে সাদার্ন অ্যাভিনিউ। সেখানেই এই ক্যাফে। রুফ টপে বসে কলকাতাকে একেবারে অন্যরকম মনে হবে। প্রিয়জনের ঠিক পাশটিতে না বসলেও একবার অন্তত হাঁত ছুয়ে দেখা আর সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের চোখ জুড়িয়ে যাওয়া সবুজ। ঠিক যেন আকাশের কাছাকাছি। পরশু থেকেই এই ক্যাফেতে পুজো স্পেশাল খাবারদাবারের এলাহি আয়োজন।
লুচি সহযোগে মুর্গ মালাই মাখনওয়ালা।
১২২এ সাদার্ন অ্যাভিনিউ এই ক্যাফে রেস্তরাঁ খুলছে দুপুর ১২টা। রাত ২টো পর্যন্ত খোলা থাকছে এই দোকান।নতুন প্রজন্মের সঙ্গে প্রবীণ প্রজন্মেরও এক-দুজনের দেখা মিলছে। করোনা আবহে মানা হচ্ছে সুরক্ষাবিধিও। মাস্ক পরে আসতেই হবে, হাতে দেওয়া হবে স্যানিটাইজারও। কিন্তু কী কী থাকছে এই ক্যাফেতে?
ডেয়ারি মিল্ক শেক, মল্টেন চকোলেট ব্রাউনি শেক, স্পাইসি আলফন্সো, গুয়াভা হরি মির্চের স্বাদে পুজোর পানীয় জমে উঠতে বাধ্য। কিন্তু পানীয়র সঙ্গে আর কী পেতে পারেন এখানে?
রেশমি চিকেন চিলি, কাজুন স্পাইসড চিকেন, ফিস লাসুনি কাবাব, চিকেন এসকালোপ, সিমলা পনির টিক্কা কাবাব, গোবি তন্দুরি, ব্রুশেট্টা উইদ মাশরুমও কিন্তু পাবেন এই ক্যাফে-রেস্তরাঁয়।
পেয়ে যাবেন মাটন রোস্ট।
আসলে ক্যাফে মানে যে শুধুই চা-কফি এমন তো নয়, বরং লাঞ্চ থেকে ডিনার সবেরই আয়োজন থাকছে এখানে।
আরও পড়ুন: পাবদা বাসন্তী থেকে চাইনিজ-কন্টিনেন্টাল, উত্তরের এ রেস্তরাঁয় বিপুল আয়োজন
মুর্গ মালাই মাখনওয়ালা, কিমা মাখনওয়ালা, শেপার্ডস পাই, প্রন রোস্ট, প্রন ইন হানি হুনান সস, বেকড ভেটকি উইদ ভেলোতে সস, মিট লাভারস পিৎজা, মুর্শিদাবাদি আলুর দম, মাশরুম-পোট্যাটো ক্যাসেরোল, ক্যান্টনিজ প্যান ফ্রায়েড নুডলস, বার্নট জিঞ্জার ক্যাপসিকাম ফ্রায়েড রাইস, কাশ্মীরি পোলাও, পিস পোলাও-সহ আরও অনেক কিছু।
শেষ পাতে চিজ কেক, আইসক্রিমের পকোড়া, মিনি বেকড আলাস্কা, বাটারস্কচ মুজ তো রইলই।
এত রকমের পদ দেখে ভাবছেন কোনটা ছেড়ে কোনটা খাব? চিন্তার কিছু নেই। ধীরে সুস্থে বেছে নিন আপনার পছন্দের পদ। পুজোর দিনে পোলাও হোক বা চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল যেটা ইচ্ছে, সেটাই খান। পাশে প্রিয় জন মানেই তো উৎসব। ভিড় এড়িয়ে মনের মানুষের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য এ পুজোয় আপনার সাকিন হতেই পারে হোয়াটসঅ্যাপ ক্যাফে।