বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সরষে-নারকেলের চিংড়ি।— ছবি: নিজস্ব চিত্র।
পুজোয় খাব তো বটেই। এই সময় মোটেও নিরামিষের ধারকাছে দিয়ে যেতে চান না যাঁরা তাঁদের জন্য তো আছেই লম্বা শুঁড়-দাঁড়ার প্রিয় খাদ্যটি! ইলিশ-চিংড়ি বা ঘটি-বাঙালের চিরায়ত ঝগ়ড়া ভুলে পুজোর ক’দিন মেতে উঠুন চিংড়ির দেদার ভোজে।
‘মৎস্য মারিব খাইব সুখে’, এই প্রবাদে আমরা যাঁরা বিশ্বাসী, তাঁদের কাছে চিংড়ির পদ জিভের তাড়ে যোগ করে মন-মেজাজ শেরিফ হওয়ার রসায়নও! চিংড়ি যদি ভালই লাগে, তবে এ বার পুজোয় সরষে-নারকেলের চিংড়ি ও চিংড়ির বড়া পড়ুক পাতে।
এ দিকে পুজোয় প্যান্ডেল হপিং, বাড়ির পুজোর কাজ, দেদার আড্ডা, নির্ঘণ্ট মেনে অঞ্জলি— সব মিলিয়ে হাতে সময়ও কম। তাই রেসিপি এমন চাই, যাতে স্বাদ তো থাকবেই, কিন্তু সময় লাগবে কম। দেখে নিন এই দুই পদ বানানোর সবচেয়ে সহজ উপায়।
আরও পড়ুন: নিরালায় খাওয়া কিংবা দেদার পার্টি— ঠিকানা লেভেল সেভেন
সরষে-নারকেলের চিংড়ি
উপকরণ:
বাগদা চিংড়ি
নারকেলের দুধ
নারকেল কোড়া
সাদা সরষে
কাঁচা লঙ্কা
ফ্রেস ক্রিম
দারচিনি
নুন: স্বাদমতো
হলুদ
সরষের তেল
প্রণালী: মাছ ভাল করে ধুয়ে, তার ভিতরের কালো সরু সুতোর মতো অংশ বাদ দিন। এ বার তেলে হালকা নেড়েচেড়ে নিন চিংড়ি মাছ। অনেকেই চিংড়ির এই পদ না ভেজে সরাসরি রান্না করতে পছন্দ করেন। তারা মিক্সিতে সাদা সরষে ও নারকেল কোড়ানো এক সঙ্গে দিয়ে ভাল করে বেটে নিন। এ বার সরষের তেল গরম করে তাতে কাঁচা লঙ্কা ও দারচিনি ফোড়ন দিন। ঝাল খেতে না চাইলে কাঁচা লঙ্কা বেশি দেবেন না। এ বার সাদা সরষে ও নারকেল কোড়ানো বাটা তেলে দিন। সোনালি হয়ে ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো নুন ও হলুদ দিয়ে দিন। ঝাল যাঁরা বেশি খান, তাঁরা সরষে-নারকেল কোড়ার সঙ্গে কাঁচা লঙ্কাও বেটে নেবেন। এর পর এতে চিংড়িগুলো দিয়ে একটু কষে নিন। অল্প জল যোগ করে ফুটতে দিন কিছু ক্ষণ। মাখো মাখো হয়ে এলে ফ্রেস ক্রিম ও নারকেলের দুধ যোগ করে অল্প কিছু ক্ষণ ফোটান। নামানোর আগে উপর থেকে সরষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ব্যস! এ বার দরকার শুধু গরম ভাত বা পোলাও!
আরও পড়ুন: এ বার পুজোয় রেস্তরাঁর মটন তৈরি হোক আপনার রান্নাঘরেই
আরও পড়ুন: পুজোর রান্নায় থাকুক বনেদিয়ানার ছোঁয়া
চিংড়ির বড়া
উপকরণ (মাছ অনুযায়ী পরিমাণ মতো)
মাঝারি মাপের বাগদা চিংড়ি
কর্ন ফ্লাওয়ার
ডিম
ময়দা
নুন
আদা বাটা
রসুন বাটা
তিল
ধনে পাতা বাটা
হলুদ
পুদিনা পাতা বাটা
ভিনিগার
সোয়া সস
প্রণালী: চিংড়ি ভাল করে ধুয়ে তার কালো সুতোর শির বার করে নিন। কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন ভিনিগারে। মাছ একটু নরম হবে এতে। এ বার হলুদ-সহ সব বাটা মশলা মাখিয়ে নিন এর গায়ে। এ বার একটি পাত্রে ময়দা, কর্ন ফ্লাওয়ার ও ডিম এক সঙ্গে ফেটিয়ে নিন। মশলা মাখানো চিংড়ি মাছ এতে ডোবান আর ছাঁকা তেলে ভাজুন। পরিবেশন করুন টমাটো সস বা কাসুন্দির সঙ্গে। চিংড়ির এই লোভনীয় বড়া দিয়েই জমে যাবে পুজোর বিকেল জমিয়ে দিন চা-কফির ঘরোয়া আড্ডায়।