বুধবার তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো। দুধ সাদা মার্বেলে মোড়া ঠাকুরঘরের মেঝে প্রতি বছরই সেজে ওঠে নিখুঁত আলপনায়। আর দেবী প্রতিমা সাজেন তাঁর হাতের ছোঁয়ায়। নিজের হাতে নাড়ু বানিয়ে দেবীকে নিবেদন করেন। হাত লাগান ভোগ রান্নাতেও। নিজেও সাজেন লক্ষ্মী প্রতিমার মতোই। এ বছর সেই চেনা ছবি উধাও অপরাজিতা আঢ্যর বাড়িতে। মাত্র দু’মাস আগে শ্বশুরমশাইকে হারিয়েছেন। অভিনেত্রী তাই পুজো সারবেন একেবারে ঘরোয়া আচারে।
তারই কিছু ঝলক অপরাজিতা ভাগ করে নিলেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে। মঙ্গলবার থেকেই অবশ্য ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রতি বছরের মতো তাঁর হাতেই যে সেজে উঠছেন দেবী।
রানি রঙা ছোট্ট বেনারসীতে অপরূপা প্রতিমা। মা লক্ষ্মী ঘরের মেয়ে। তাই আটপৌরে ঢংয়েই তাঁকে শাড়ি পরিয়েছেন অপরাজিতা। মাথায় ওড়না, ঘোমটা টানা। খোলা চুল কাঁধের পাশে ছড়ানো।
দেবীর এক হাতে ধানের কুনকে। অন্য হাতে বরাভয় মুদ্রা। সুখ-সমৃদ্ধি স্বরূপিনী যেন ভক্তদের আশ্বস্ত করছেন, তিনি আছেন প্রতি ঘরে। সবার অন্তরেও। মঙ্গল, শান্তির ধারক-বাহক হয়ে।
প্রতিমার গা ভরা গয়না। প্রতি বছর সে সব নিজের হাতে যত্ন করে পরিয়ে দেন অপরাজিতা। নিত্য নতুন ভঙ্গিতে সেজে ওঠেন দেবী।
তবে এ বছর নিজের সাজেও সংযত অপরাজিতা। আড়ি কাজের সাদা কোটা শাড়িতে জরি আর লাল সুতোয় বোনা ছোট্ট ছোট্ট ফুল। কাঁধ ছোঁয়া চুলে ক্লিপের শাসন। হাল্কা গয়না, বড় টিপ, চওড়া সিঁদুরে স্নিগ্ধ অভিনেত্রী।
দেবীর সাজ মনমতো হতেই খুশির হাসি বড় পর্দার ‘মিষ্টি’র মুখে। আনন্দে জড়িয়ে ধরেছেন দেবীকে। তার পরেই পা ছুঁয়ে যেন বলেছেন, ‘‘ভুল-ত্রুটি হলে অপরাধ নিও না মা।’’
এক ছোট্ট ভিডিয়োয় অপরাজিতা বলেছেন, ‘‘এ বছর পুরোহিত আসবেন না। আমিই ঘট পাতব। অন্তরের ভক্তি দিয়ে পুজো দেব। মাকে সাজাব। নৈবেদ্যও দেব আমিই।’’