দেব-দেবীদের মধ্যে সবথেকে জাগ্রত বলে মনে করা হয় কালীকে। প্রতি বছর নিয়ম করে কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে রাতজুড়ে দেবী কালীর আরাধনা করা হয়।
মনে করা হয়, শ্রদ্ধা, নিষ্ঠা ও ভক্তি-সহ দেবীর আরাধনা করলে শত্রু ভয় দূর হয়। মুক্তি পাওয়া যায় পাশাপাশি রোগ ও ঋণ থেকেও। সঠিক উপায়ে দেবী-মন্ত্র জপ করলে, কোনও অশুভ শক্তি প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
কালির আশীর্বাদে জীবনে চলার ক্ষেত্রে কেরিয়ার ও ব্যবসার সমস্ত বাধা দূর হয়। শনি ও রাহুর দশা অন্তদর্শা থেকে মুক্তির জন্যও কালীর উপাসনা করতে পারেন।
অবশ্য, যে কোনও ব্যক্তিই কালীর সাত্ত্বিক রূপের আরাধনা করতে পারেন। যদিও তান্ত্রিক আরাধনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ পুরোহিতের প্রয়োজন। এই দিনে বিশেষ কিছু উপায় অবলম্বন করলে দেবীর আশীর্বাদধন্য হওয়া যায়। দূর হয় সমস্ত সমস্যা, কষ্ট, অভাব। চলুন দেখে নি এই কালী পুজোয় কী উপায়ে দোষ-পাপ থেকে মুক্তি পাবেন।
কোনও আইনি মামলা, মোকদ্দমা বা ঋণ সংক্রান্ত সমস্যায় জড়িয়ে থাকলে কালী পুজোর দিন থেকে শুরু করে আগামী ৯ দিন দেবীর সামনে সুগন্ধিত ধূপ জ্বালান।
আর্থিক অভাবে দিন কাটালে, বা উন্নতি আটকে গেলে দেবীকে প্রতিদিন ধূপকাঠি দেখান। প্রতি শুক্রবার কালী মন্দিরে গিয়ে পুজো করুন এবং দেবীকে মনোস্কামনা জানান।
মানসিক কলহ, অবসাদ ও বিভিন্ন সমস্যায় ঘিরে থাকলে নিয়ম করে প্রতি শুক্রবার দেবীর পুজো করুন। এবং অজ্ঞানত অবস্থায় করা পাপকার্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করুন।
শনির দোষ কাটাতে দেবী কালীকে সরষের তেল, কালো তিল, কালো বিউলির ডাল নিয়ে পুজো অর্পন করুন।