তিনি সমগ্র জগৎ-সংসারকে ধারণ করেন, তাই তিনি জগদ্ধাত্রী। পুরাণ মতে, দেবতাদের জ্ঞানচক্ষু উন্মিলিত করার জন্যই নাকি তাঁর আবির্ভাব।
আগামী ২ নভেম্বর সেই দেবীর পুজো। গত দু’বছরের করোনার চাপ কাটিয়ে এ বারে যেন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস। স্বভাবতই উন্মাদনা রয়েছে বেশ।
তবে জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই কিন্তু শুধু চন্দননগর নয়। বরং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠে আসে কৃষ্ণনগরের নাম। আর কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা উঠলে বলতেই হয় চাষা পাড়ার বুড়িমার পুজোর কথা।
দেখতে দেখতে এই পুজো ২৫০ বছরে পদার্পণ করল। তবু এতটুকু কমেনি তার জৌলুস। ভক্তদের মনে অগাধ বিশ্বাস। তাই মানত করতে তাঁরা দলে দলে ছুটে আসেন দেশবিদেশ থেকে।
সেই মনস্কামনা পূর্ণ হলে মা-কে দান করেন সোনার গয়না। লোকে বলে বুড়িমা নাকি সবার সব চাওয়াই পূর্ণ করেন।
তাই আজ মা অঢেল সোনার গয়নার অধিকারী। পুজোর সময়ে তাই প্রতিমাকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মুড়ে দেওয়া হয় গয়নায়।
পুজোর উদ্যোক্তাদের অন্যতম গৌতম ঘোষ বলেন, "চাষাপাড়ার বুড়িমা কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্য। বুড়িমার প্রসাদ খেলে পূরণ হয় মনোবাঞ্ছা। তাই একটু প্রসাদ পাওয়ার আশায় ছুটে আসে ভক্তদের দল।"
মায়ের সোনার গয়নার বর্তমান পরিমাণ ঠিক কত, তা খোলসা করে জানাননি উদ্যোক্তারা। গয়না থাকে লকারে। পুজোর আগের পরে কড়া পুলিশি পাহারায় অলঙ্কার এনে সারা রাতে সাজিয়ে তোলা হয় মাকে।
একেই ভয় কেটেছে করোনার, তাতে এ বার ২৫০ বছর পূর্তি এই পুজোর। আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।
স্বাভাবিক ভাবেই তাই ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। ফলে বুড়িমার পুজো ঘিরে এ বার বাড়তি সতর্ক প্রশাসনও।