‘আরও কাছাকাছি, আরও কাছে এসো’— পুজোর মরশুমে এমনই ডাক শুনতে পাওয়া যায় বাংলার নানা প্রান্তে। দুর্গার আরাধনার পাশাপাশি প্রেমের প্রতিও যেন বাড়ে যত্ন। যাঁরা কাছে ছিলেন, তাঁদের দূরত্ব আরও কমল। আর যাঁরা জনসমক্ষে একসঙ্গে আসতে পারতেন না, তাঁরা বাধা কাটিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। পুজোর কটা দিন টলিপাড়ার এমনই জুটিবদ্ধ চেহারা নজরে পড়ল। তাঁদেরই কয়েক জনকে তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন।
‘যশরত’, জুটির নামও তৈরি হয়ে গিয়েছে বহু মাস আগে থেকে। কিন্তু তারকা দম্পতি যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরত জাহান একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হতে চাননি কোনও দিন। পুজোর মরশুম শুরু হতেই সেই বাধো বাধো প্রবণতায় ইতি।
বিশ্বকর্মা পুজোয় প্রথম বার তাঁদের এক ফ্রেমে দেখা যায়। মাথায় সিঁদুর, হাতে শাঁখা-পলা ছিল নুসরতের। তার পরই পঞ্চমীর দিন নুসরত তাঁর সঙ্গী যশকে ‘স্বামী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
তার পরে ষষ্ঠীর দিন পুজোর বিচারক হিসেবে যশ-নুসরত মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরেছেন। মণ্ডপে জয়ঢাক বাজিয়েছেন জুটিতে দুটিতে।
বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন বাড়ির পুজোয় ঘুরে বেরিয়েছেন শোভন গঙ্গোপাধ্যায় এবং স্বস্তিকা দত্ত। কিন্তু দশমী থেকে বাকি কয়েকটা ছুটি তাঁরা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নিজেদের জন্য। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের আড়ালে শান্তি পেয়েছে তাঁদের প্রেম।
আনন্দবাজার অনলাইনকে স্বস্তিকা বলেছিলেন, ‘‘দশমী মানেই পুজো শেষ। আমরাও শহর ছাড়ছি। পাঁচটি দিন আমাদের মতো করে কাটাব দার্জিলিংয়ের কাছে ছোট্ট গ্রাম সিডিতে।’’
দু’বছরের প্রেম। বিয়ের গুঞ্জনও উঠেছিল। সেই রণজয় বিষ্ণু এবং সোহিনী সরকারের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মাতামাতি টলিপাড়ায়। এই পুজোয় তাঁরা আরও কাছাকাছি এলেন যেন।
একসঙ্গে দেবী বরণ থেকে শুরু করে সিঁদুর খেলা— সব জায়গায় জুটিতেই দেখা গিয়েছে তাঁদের। দুর্গামণ্ডপে ধুনুচি নাচের আগে রণজয় আবার তাঁর প্রেমিকার পিঠে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন। তাঁদের ভালবাসার চিহ্ন বার বার ধরা পড়েছে নানা ফ্রেমে।
সন্দীপ্তা সেনকে নিয়ে প্রশ্ন করলে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর দেন, ‘‘আমরা দু’জন ঘনিষ্ঠতম বন্ধু’’। কিন্তু কানাকানি তো বন্ধ হয় না। সে ভাবেই জানা গিয়েছিল দীর্ঘ ৬ বছরের দুই বন্ধুর সমীকরণে প্রেমও রয়েছে। কিন্তু তাঁরা কেউই সে কথা প্রকাশ করতে চান না।
এই পুজোয় হাওয়া বদল করলেন একইসঙ্গে। কলকাতা থেকে তামিলনা়ড়ুতে উড়ে গেলেন রাহুল-সন্দীপ্তা। তার তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ করতেও দ্বিধাবোধ করেননি তাঁরা। তবে কি নিজেদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে স্পষ্টবাদী হয়ে উঠলেন এ বার?
টলিপাড়ার দাবি, গত আট-নয় মাস ধরে প্রেম করছেন অঙ্কিতা চক্রবর্তী এবং প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন না তাঁরা। অঙ্কিতা বলেন, ‘‘আমরা নিজেরাও জানি না, আমাদের সম্পর্কটা আসলে কী। কেউ নাম দিলে তো ভালই।”
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার ছবি ভর্তি দু’জনের ইনস্টাগ্রামে। কিন্তু ভিড়ের মধ্যেও আলাদা করা গিয়েছে সেই দুইকে। সব ছবির মাঝেও অঙ্কিতা নিজের এবং প্রান্তিকের একটি ছবি আলাদা করে রেখেছেন।