সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী। পুজো জমজমাট। সাজও। ঠিক কোন পোশাকে হয়ে ওঠা যাবে ভিড়ের মধ্যমণি? সাহেব ভট্টাচার্যের পুজোর সাজে তারই ঝলক।
শারদ-সাজের বাঙালিয়ানায় পাঞ্জাবি বাঙালির চিরন্তন পছন্দ। পুজোর শুরু থেকে শেষ, পাঞ্জাবিই শেষ কথা।
সপ্তমী শুরু হোক রঙিন পাঞ্জাবিতেই। সাহেবের বাছাই নীলরঙা পাঞ্জাবি। তার উপরে ত্রিনয়নী মায়ের মুখ।
সাবেক পাঞ্জাবির স্বাদ বদলে সামিল হালফিলের নকশা। সাহেবের সাজে মিলেমিশে গেল ঐতিহ্য ও আধুনিকতা।
অষ্টমীর অঞ্জলি। পাশে লালপেড়ে সাদা শাড়িতে ঝলমলে বঙ্গনারী। পুরুষও পাল্লা না দিলে চলে? তাঁর পোশাকেও থাকুক না লাল-সাদার ছোঁয়া!
বছর কাটে জিনস, শার্ট, প্যান্টেই। ধুতি-পাঞ্জাবির আভিজাত্য তবু অমলিন। সাহেবকেই দেখুন না!
লাল ধুতির জুটিতে লাল-সাদা কাজের পাঞ্জাবি। এই সাহেবই নাকি ‘গোরস্থানে সাবধান’ বা ‘রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য’-র সেই সদ্য কৈশোর পেরোনো তোপসে? ভাবা যায়!
চোখ-ধাঁধানো নবমীর সাজে । পর্দার তোপসে কি এ বার চ্যালেঞ্জ ছুড়বেন খোদ ফেলুদার দিকেই?
লাল পাঞ্জাবিতে হাতে আঁকা দুর্গার মুখ। লাল-হলুদ-সবুজের এমন উজ্জ্বল উপস্থিতি মণ্ডপে এমনিই চোখ টানবে। সঙ্গে সাহেবের মতো রোদচশমা ও রুদ্রাক্ষের মালাও পরবেন নাকি? জমে যাবে কিন্তু!
পোশাক: শ্যামসুন্দর বসু। ছবি: শ্রী ও দেবজিৎ। রূপটান: শাশ্বত। পরিকল্পনা: শুভজিৎ ঘোষ।