সব কিছুই ভাবনার বাইরে চলছে। এই পরিস্থিতিতে কিছুই ঠিক করার মতো অবস্থায় নেই তিনি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দুর্গাপুজোয় কলকাতা পৌঁছতে পারবেন না। পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে সিঙ্গাপুরেই। মন খারাপ তাঁর, সিঙ্গাপুরে যে এ বার দুর্গা পুজো নেই!
সিঙ্গাপুরেই ফটোশুট করছেন। সাবেকি আর পাশ্চাত্য লুকে পুজোয় আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে নিজেকে মেলে ধরলেন এই অভিনেত্রী। দুর্গাপুজো মানে তাঁর কাছে অবশ্যই শাড়ি। সেই শাড়িকেই নিজের শরীরে নানা ভাবে জড়িয়ে ভিন্ন এক স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করেছেন ঋতু।
সিঙ্গাপুরে ছোট করে অষ্টমীর লাঞ্চ বা সপ্তমীর ডিনারের প্ল্যান করেছেন ঋতুপর্ণা। “এ বার কলকাতার ফুচকা, উদ্বোধন সব বন্ধ। কিন্তু আমাদের মনকে তো আর বন্ধ করা যায় না। তাই মায়ের জন্য অপেক্ষা!” বললেন ঋতুপর্ণা।
জীবনের সেলিব্রেশনে মেতে উঠতে চান লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী। লাল, গোলাপি, কালো, হলুদ সব রঙের শাড়িতেই সমান উজ্জ্বল। খোলা পিঠে লাল টিপের ইশারায় কখনও চমকে দিচ্ছেন নিজের আত্মবিশাসে।
এই পুজোতেই আসছে তাঁর ছবিও। ‘পার্সেল’।
শাড়ির সাজে বিস্ময় এনেছেন ঋতু। ভারী গয়না আর সাদা-গোলাপি অঞ্জলি শাড়ি। ব্লাউজহীন সাজে অনন্য ঋতুপর্ণা। খোঁপায় ফুলের মালা তৈরি করেছে উৎসবের আমেজ।
হরি বিশ্বনাথনের পরিচালনা, শতরূপা সান্যালের প্রযোজনায় নতুন ছবি ‘বাঁশরি’। তাতেই স্ক্রিন শেয়ার করবেন অনুরাগ আর ঋতুপর্ণা। ইন্ডাস্ট্রি পাবে এক নতুন জুটি।
আনন্দবাজার ডিজিটালকে ঋতু বললেন, “নায়িকা ঋতুপর্ণার কোনও বিকল্প হয় না। নায়িকা ঋতুপর্ণা তো থাকবেই। কিন্তু নায়িকার আত্মপ্রকাশ আরও অভিনয়ের মাধ্যমে কেমন করে হবে? সেটাই চ্যালেঞ্জ। ঐশ্বর্যা রাই থেকে বিদ্যা বালন, সকলে এ পথেই তো গিয়েছেন। চ্যালেঞ্জটা বার বার নিতে হবে। কাজই আমার প্রথম প্রেম।”
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বক্স অফিসের সাফল্যের কথা ভেবে ছবি করেন না। তা হলে ২০০৮-এ ‘ইচ্ছে’-র মতো ছবি করার কথা তিনি ভাবতেন না। “ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন পরিচালক, অভিনেতারা আসবে না? এই যেমন ‘পিউপা’ ছবিটা দেখে আমি ইন্দ্রাশিসের ‘পার্সেল’ করার কথা ভাবি। তখন তো দেখিনি ‘পিউপা’ কত দিন চলেছে? বাংলা সিনেমাকে শুধু হিট বা ফ্লপ দিয়ে চিনলে একেবারেই চলবে না।” তথ্য সহায়তাঃ স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়