“আমার দুর্গাপুজো মানে ফুচকা, ধুনুচি নাচ আর জমিয়ে আড্ডা,” বললেন টেলিপর্দার পরিচিত মুখ সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। পুজোর ফটোশুট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শেয়ার করলেন ব্যাক্তিগত জীবনেরও কিছু ঘটনাও।
পুজো মানেই জমিয়ে সাজগোজ। তবে এ বার করোনাসুরের হানায় পরিস্থিতি কিছুটা অন্য রকম। এ বছরে তাঁর পুজোর লুকস সম্পূর্ণটাই ডিজাইনার প্রলয় দাশগুপ্তের ভাবনায়। দুষ্টু-মিষ্টি লুকে তাঁর পুজোর সাজ ভক্তদের মন টেনেছে।
কমলা এবং লাল রঙের গাউনে মোহময়ী সায়ন্তনী। ব্যাকব্রাশ করা চুলে আরও আকর্ষণীয়া। বললেন, “শুধু পুজোয় নয়, এই ধরনের পোশাক বিভিন্ন পার্টি, প্রিমিয়ারে খুব মানানসই।”
শাড়ি-গয়না ছাড়া পুজো শপিং অসম্পূর্ণ সায়ন্তনীর কাছে। ইতিমধ্যেই পুজোর পাঁচ দিনের পাঁচটা শাড়ি কেনা হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে ঢাকাই জামদানি, লিনেন, খাদি বিশেষ ভাবে পছন্দ তাঁর।
এ বারের পুজো সকলের জন্যই অন্য বারের থেকে একটু আলাদা। তবে সায়ন্তনীর কাছে মজারও বটে। কারণ? এ বছর তিনি আর একা নন, পুজোর দিনগুলো কাটাবেন মনের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে।
বয়ফ্রেন্ড কথা বলতে গিয়ে মৃদু হাসি। বললেন, “একে অপরকে চিনি বহু বছর। খুব ভাল বন্ধু ছিলাম। কিন্তু চোখের সামনে থেকেও একে অপরের মন পড়তে পারিনি।” বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। এখন সাত পাকে বাঁধা পড়ার স্বপ্ন দেখছেন সায়ন্তনী। সব কিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই সে স্বপ্ন পুরণও হবে।
অনেক প্ল্যান ছিল পুজোর। কিন্তু ছ’মাসের লকডাউনে জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। পুজো পরিক্রমায় যাওয়ার উপায় নেই। এ বছরটা হাউজ পার্টি এবং পারিবারিক আড্ডাতেই ভরসা রাখছেন নায়িকা।
“বাড়িতেই প্রতি বছর দুর্গাপুজো হয়। এ বছর পরিবারের এক জনকে হারিয়ে পুজো বন্ধ। তবে অনেক বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন, যাঁদের বাড়িতে পুজো হয়। সেখানে আড্ডা আর খাওয়া-দাওয়া সবই হবে,” বললেন সায়ন্তনী।
করোনার পরিস্থিতিতে কেরিয়ার কেমন চলছে? “পুজোর জন্য অনেক ফটো শুট, বিশেষত অনেক বিজ্ঞাপনের শুট করেছি। একটু ভয় লাগছে বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে। পুজোর আগে অনেকগুলো কাজের অফার এসেছে। সবটাই যে মনের মতো চরিত্র, তা নয়। তবে কিছু কিছু চরিত্র বেশ চ্যালেঞ্জিং।”
সায়ন্তনীকে এত দিন অভিনেত্রী হিসেবেই চিনতেন মানুষ। পুজোর পরে আর একটি নতুন পরিচয় তৈরি হচ্ছে। গোলপার্কে একটি বড়সড় ক্যাফে কাম রেস্তঁরা খুলতে চলেছেন তিনি। মিলবে বাংলাদেশি ইলিশ পোলাও থেকে জার্মান মিটবলস্, টার্কিস চিকেনের মতো দেশ-বিদেশের হরেক পদ।
সবই রয়েছে, তবু কিছুই যেন নেই। পুজোর আনন্দে কোথাও যেন বড়সড় ফাঁক। সায়ন্তনীর কথায়, “এ বার পুজোয় সব থেকে যেটা মিস করব, তা হল ধুনুচি নাচ। সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়া, রোল খাওয়া – এগুলো তো বটেই।”
“পুজোয় আমার ধুনুচি নাচের পার্টনার মৈনাক। সে আমি একা থাকি আর দোকা, এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। এ বছর হবে কি না জানি না। তবে সুযোগ পেলে মায়ের সামনে ধুনুচি নাচ একটু তো নাচবই আমি আর মৈনাক,” সায়ন্তনী। ফটোগ্রাফার: অনির্বাণ সাহা; স্টাইলিং অ্যান্ড আউটফিট: প্রলয় দাশগুপ্ত; লোকেশন: দ্য স্পিরিটস (সেক্টর ফাইভ); মেক আপ ও হেয়ার: পৃথা দত্ত; মডেল- সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা।