সকাল থেকেই বৃষ্টি পড়ছিল সে দিন। গলফগ্রিনের স্টুডিয়োতে আদৌ শুট হবে কি না, তা নিয়েই বেশ চিন্তায় ছিলেন ডিজাইনার অনুশ্রী মলহোত্র। তবে শুট শুধু হল না, জমেও গেল বেশ। লাইমলাইট ছিনিয়ে নিলেন ইশা। যোগ্য সঙ্গত দিলেন বিক্রমও।
সিঁদুর লাল বিকিনি ব্লাউজ আর অন্ধ্রপ্রদেশের হাতে আঁকা কলমকারি শাড়িতে ইশাকে সাজিয়েছিলেন অনুশ্রী। মেকআপের আধিক্য চাননি। তাই টাচআপ ছিল ছিমছাম।
খোলা চুল আর গলায় চোকার, সঙ্গে কালো রঙা বুটস। এথনিক সাজে পাশ্চাত্যের ছোঁয়ায় পুজোর আগেই স্টুডিয়োতে যেন পুজোর আমেজ নিয়ে এসেছিলেন ইশা। তার কারিগর? অনুশ্রী, আবার কে!
অনুশ্রীর কথাতেই জানা গেল, এ বার তাঁদের শুটের থিম ছিল- 'গো ভোকাল ফর লোকাল'। অর্থাৎ, দেশীয় সামগ্রীতেই নিজেকে সাজিয়ে তুলুন অনন্য সাজে।
নাই বা থাকুক তাতে দামি ব্র্যান্ডের ছাপ, বেছে নিন দেশজ শিল্পকেই। অতিমারির বাজারে আপনার সঙ্গী হয়ে উঠুক দেশের ঐতিহ্য। এটাই ছিল সার কথা।
গ্ল্যামারে পিছিয়ে ছিলেন না বিক্রমও। ইশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনিও জমিয়ে সেজেছিলেন অনুশ্রীর পোশাকে। খাদির কুর্তা, কালো ডেনিম প্যান্ট আর রিস্টওয়াচে 'পুজো রেডি'!
শুধু ফিউশনই নয়, অনুশ্রীর প্ল্যানে ছিল পাশ্চাত্য লুকও। তাই দ্বিতীয় শুটে ইশার জন্য অনুশ্রীর পছন্দ ছিল ডিপ প্লাঞ্জিং নেক আর কোমরে হানিকম্ব করা পোশাক।
ইশার সঙ্গে মানানসই লুকে নজরকাড়া বিক্রমও। তাঁর জন্য বরাদ্দ ছিল ডাবল লেয়ারড লুক। কী রকম জানতে চান তো?
বিক্রম পরেছিলেন ব্ল্যাক টি শার্ট। আর তার উপরে পরেছিলেন জ্যাকেট। সঙ্গে মেটে রঙের ডেনিম প্যান্ট। শুটের ঠিকানা? পুকুরপাড়!
জমে উঠেছিল বিক্রম আর ইশার কেমিস্ট্রিও। প্রথমে অল্পস্বল্প জড়তা। কিন্তু দিন যত গড়াল, ততই জমে উঠল যুগলবন্দি। কাছাকাছি এলেন, বন্ধুত্বও হল। আর সেই ছবিই ধরা রইল আমাদের ক্যামেরায়।
কী ভাবছেন? এ বার পুজোয় বিক্রম এবং ইশার মতো আপনিও কি ' ভোকাল' হবেন 'লোকাল'-এর জন্য? ডিজাইনার: অনুশ্রী মলহোত্র এবং তথ্য সহায়তা: স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।