নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে দেবী দুর্গা পূজিত হন কাত্যায়নী রূপে। কোথাও চতুর্ভুজা, কোথাও দশভুজা। কোনও কোনও বিগ্রহে দেবী কাত্যায়নীর আঠেরোটি হাতও দেখা যায়।
শাক্তধর্মে দেবী দুর্গার কাত্যায়নী রূপ খুবই প্রচলিত। যজু্র্বেদে তৈত্তিরীয় আরণ্যকে তাঁর কথা বলা হয়েছে। স্কন্দপুরাণ এবং পতঞ্জলির মহাভাষ্যেও তাঁর উল্লেখ রয়েছে।
দেবী ভাগবত পুরাণ, মার্কণ্ডেয় পুরাণ, কালিকাপুরাণ-সহ একাধিক পৌরাণিক আখ্যানে বর্ণিত হয়েছেন দেবী কাত্যায়নী।
বামনপুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরকে বিনাশ করার জন্য দেবতাদের সম্মিলিত শক্তি থেকে জন্ম হয়েছিল দেবী কাত্যায়নীর।
তবে শুধু অসুর বিনাশকারিণী হিসেবেই নন। ভাগবৎপুরাণ অনুযায়ী, দেবী পূজিত হন অন্য এক কারণেও।
প্রচলিত বিশ্বাস, মার্গশীর্ষ বা অগ্রহায়ণ মাস জুড়ে দেবী কাত্যায়নীর উপাসনা করলে কুমারীদের স্বামীভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়।
দেবী কন্যাকুমারীকে বলা হয় কাত্যায়নী বা পার্বতীর এক রূপ। পোঙ্গল উৎসবের সময়ে তাঁর পুজো করেন কুমারীরা।
দেশজুড়ে দেবী কাত্যায়নীর অজস্র মন্দির আছে।
গুজরাতের মাহীসাগর, বৃন্দাবনের কাত্যায়নীপীঠ, কর্নাটকের শ্রী কাত্যায়নী বাণেশ্বর মন্দির, রাজস্থানের আবু পাহাড়ে কাত্যায়নীপীঠ সেগুলির মধ্যে অন্যতম।
নবরাত্রিতে এই মন্দিরগুলিতে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়।