নবরাত্রির চতুর্থ দিন দেবী দুর্গা পূজিত হন কুষ্মাণ্ডা রূপে। ‘কু’ শব্দের অর্থ কম। ‘উষ্মা’ হল উষ্ণতা।
বলা হয়, অষ্টভুজা এই দেবীর চকিত হাসিতেই নাকি সৃষ্টি হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড।
দেবীর আট হাতে অস্ত্র ছাড়াও ধরা থাকে জপমালা। এক হাতে ভক্তদের জন্য অভয় মুদ্রা।
এই বিগ্রহের বিশেষত্ব হল, দেবীর হাতে দু’টি পাত্রের একটিতে থাকে অমৃত এবং অন্যটিতে রক্ত! একদিকে সৃষ্টি, অন্যদিকে সংহারের প্রতীক।
পুরাণে কথিত, দেবী কুষ্মাণ্ডাই সূর্যের শক্তির উৎস।
তিনি স্বয়ং সৌরশক্তি হিসেবে বিরাজ করেন সূর্যদেবের ভিতরে। অর্থাৎ এই ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির মূলে বিরাজ করেন দেবী কুষ্মাণ্ডা-ই।
ভক্তদের সুখ শান্তি সম্পদ ও সমৃদ্ধিতে পূর্ণ করেন দেবী কুষ্মাণ্ডা।
কুষ্মাণ্ডা রূপী দেবীর বাহন সিংহকে বলা হয় ধর্মের প্রতীক।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরে দেবী কুষ্মাণ্ডার মন্দিরের মাহাত্ম্য ভক্তদের কাছে অসীম।
নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার অন্যান্য মন্দিরের মতো এখানেও অগণিত ভক্তের সমাগম হয়।