কাজ থেকে ছুটি। চুটিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, কয়েকটা হাউজ পার্টি। টেলিভিশনের পরিচিত মুখ ‘কলের বউ’-এর নায়িকা তৃণা সাহার পুজো মানে এটাই।
ঠাকুর দেখাও অবশ্য বাদ যায় না তাঁর। তবে কয়েক বছর আগেও যে ভাবেলাইন দিয়ে ঠাকুর দেখতেন এখন সেই অভ্যাসে বাধ্য হয়েই দাঁড়ি টানতে হয়েছে। পরিচিতি আসার পর থেকে একটু গভীর রাতে বা ভোর বেলা ঠাকুর দেখেন তিনি।
তবে পুজোর কেনাকাটা এখনও হয়নি তৃণার। পুজোর সময় শুটিং বন্ধ থাকবে বলে এই ক’দিন কাজের চাপ বেড়েছে। তবে উপহার পেয়েছেন বিস্তর। এ ছাড়া তাঁর জন্য গত কয়েক বছর ধরে পোশাক তৈরি করছেন অভিষেক রায়। এ বছরও তাঁর বানানো পোশাক পরবেন তৃণা।
তবে পুজোয় কী ভালবাসেন পরতে? এ প্রশ্নের উত্তরে তৃণা সাফ জানালেন, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন বা ইন্ডিয়ান পোশাকই এ ক্ষেত্রে তাঁর প্রথম পছন্দ। এ বছরও তাঁর থেকেই কিছু পোশাক নেবেন।
এখনও নিজের জন্য কিছু না কিনলেও বিশেষ বন্ধু নীল ভট্টাচার্যের জন্য চুটিয়ে কেনাকাটা সেরেছেন তৃণা। উপহার কিনেছেন মা-বাবা ও ভাই-বোনদের জন্যও।
পুজোয় ঘোরার পরিকল্পনাতেও অবশ্যই একটা দিন বরাদ্দ থাকছে অভিনেতা নীলের জন্য। তাঁদের দু’জনেরই বেশ কিছু কমন বন্ধুবান্ধব আছে। সময় কাটবে তাঁদের সঙ্গেও।
পুজোয় প্রেম মানেই তৃণার কাছে একটা ঘোর। যদিও প্রেমের কোনও তিথি-নক্ষত্র হয় না বলেই তিনি মানেন। তবু পুজোয় কারও প্রেম দেখা দিলে সেই প্রেমের জন্যই পুজোটা আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে বলে মনে করেন তিনি।
কেনাকাটার পাশাপাশি পুজোয় খাওয়াদাওয়া নিয়েও তৃণা যথেষ্ট উত্তেজিত। তাঁর সোজা হিসেব, পুজোর সময় ডায়েট করে মনকে দুঃখ দেওয়ার কোনও কারণই নেই। তাই ডায়াটেশিয়ান পঞ্চমী অবধি নিয়ম মানতে বললেও তৃতীয়া থেকেই টুকটাক অনিয়ম শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণার।
কেরিয়ারেও বেশ ভাল জায়গায় রয়েছেন তৃণা। ‘কলের বউ’-এর কাজ তো রয়েছেই, সঙ্গে ‘কামিনী’ নামের এক ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন ইতিমধ্যেই। পাসওয়ার্ড ছবিতেও তৃণা অভিনয় করেছেন। সেই ছবিতেও তাঁর কাজ নিয়ে খুশি পরিচালক।
পুজোর পর তৃণার হাতে রয়েছে বেশ কিছু কাজ, তবে ‘কলের বউ’ সামলে কতটা সময় সে সবে দিতে পারবেন, তা ভেবেই সিদ্ধান্ত দেবেন।