সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
এ বছর ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী– পুজোর তিন দিনই আমার অনুষ্ঠান আছে। এক বন্ধুর বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়, প্রায় দু’শো বছরের। অনুষ্ঠান না থাকলে আমি শান্তিনিকেতন চলে যাই। মা চলে যাওয়ার পরে এই সময়টায় আর কলকাতায় থাকতে ইচ্ছে করে না। তাই শান্তিনিকেতন চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এক সময়ে পুজো মানেই ছিল অষ্টমীর সকালে বন্ধুবান্ধব মিলে ম্যাডক্স স্কোয়্যার। আর বাবা বেঁচে থাকতে মা-বাবার সঙ্গে ডিনারে যাওয়াটা ছিল আমার পুজোর রেওয়াজ। তারপর মা, বাবা, পরিবারের বাকিরা সবাই মিলে দুপুর বা রাতে খাওয়াদাওয়ার প্ল্যান থাকত এক দিন। এ বছর উৎসব করার কোনও কারণই খুঁজে পাচ্ছি না।
দুর্গাপুজো পুরোপুরি হিন্দু ধর্মের একটা রীতি। কিন্তু উৎসব মানে বন্ধুবান্ধব একত্রিত হয়ে আনন্দ করা। তবে এ বছর এ রকম কোনও উৎসব বাঞ্ছনীয় নয় বলেই আমার মনে হয়। যে যার মতো করে তাঁর উৎসব উদযাপন করতে পারেন। এর ভিত্তিতে কাউকে বিচার করাও উচিত নয়। পুজোর বাজারে বহু মানুষের রুটিরুজি নির্ভর করে। তাই ঢাকি-সহ বহু খেটে খাওয়া মানুষ, ছোট বড় ব্যবসায়ী, এঁদের উপার্জনে যেন বাধা না পড়ে, সেই বিষয়টা নিশ্চয়ই ভাবা উচিত। তবে যে সব পুজো রাজ্য সরকারের অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে, তাদের আমি কুর্ণিশ করি।
এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।