Durga Puja Memory

কিশোরবেলার পুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে বেরনো, সেই প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ, লিখলেন প্রিয়াঙ্কা সরকার

কাজের মধ্যে পুজো কেটেছে। আবার শহরের বাইরেও পুজো কাটিয়েছি। জীবনের ঝুলিতে তাই হরেক রকম পুজো দেখার অভিজ্ঞতা। তবে শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে কলকাতার পুজোয়। সারা শহরটা আলোর বর্ণমালায় সেজে ওঠে।

Advertisement

প্রিয়াঙ্কা সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪ ০১:১৭
Share:

প্রতীকি চিত্র

পুজোয় মা-বাবা পাড়ার প্যান্ডেলে খুব ব্যস্ত থাকত বলে, খুব রাগ হতো ছোটবেলায়। আবার অনেক সময়ে এত হেঁটে হেঁটে ঠাকুর দেখতাম যে, পা ব্যথা হয়ে যেত! কৈশোর ছোঁয়া সব ছেলে-মেয়ের মতো আমিও বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছি ওই বয়সেই প্রথম। বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরোনো মানে জীবনে প্রথম একা বাইরে বেরোনোর স্বাধীনতার স্বাদ।

Advertisement

কিছু দিন আগে পর্যন্ত একটি পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত ছিলাম আমিও। শিল্পী বাছাই থেকে ঠাকুর বাছাই, কুমোরটুলিতে ঠাকুর আনতে যাওয়া, সারা বছর ধরে পুজোর প্ল্যানিং, একটি দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার পরে খুব তাড়াতাড়ি আবার পরের বছরের পুজোর প্রস্তুতি শুরু– এগুলো খুব কাছ থেকে দেখেছি।

কাজের মধ্যে পুজো কেটেছে। আবার শহরের বাইরেও পুজো কাটিয়েছি। জীবনের ঝুলিতে তাই হরেক রকম পুজো দেখার অভিজ্ঞতা। তবে শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে কলকাতার পুজোয়। সারা শহরটা আলোর বর্ণমালায় সেজে ওঠে। সেজেগুজে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, আমার ছেলে সহজকেও অনেকটা সময় দিতে পারি। পরিক্রমা থাকলে সেই সুযোগে শহরের ভাল ভাল ঠাকুরগুলো দেখা হয়ে যায়। পুজো পরিক্রমা থাকলে চেষ্টা করি সহজ, মা বা বোনকে নিয়ে বেরোতে, যাতে পুজোর দিনগুলোয় পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে পারি।

Advertisement

এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement