ষষ্ঠী অবধি এ বছর পুজোতে কলকাতায় থাকছি। অনেক ওপেনিং, জাজমেন্ট, কমিটমেন্ট থাকে আমাদের। তবে সপ্তমীর দিন সকালে দিল্লি চলে যাচ্ছি। ওখানে আমাদের খুব ক্লোজ একজন বন্ধু থাকে। প্রায় প্রতি বছরই দিল্লিতে যাই আমরা। দিল্লিতে শো থাকে। শো করে ওদের বাড়ি চলে যাই। তার পর সেখান থেকে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করি। আমি আর আমার হাজব্যান্ড। ওদের একটা পুঁচকেও আছে। খুব মজা হয়...। একাদশী বা দ্বাদশীতে ফিরছি।
বিয়ের পর বেড়াতে যাওয়াটা বেশি হয়। আসলে পুজোর ভিড়ে আমার কর্তা কলকাতায় থাকতে চায় না। পুজোর কটা দিন কাজের জন্য থাকতে হত আমাকে। কিন্তু ও এখন বলে, ষষ্ঠী পর্যন্ত যা কাজ করার কর। তার পর বেড়াতে যাব। বিয়ের পর একটা বছরই কলকাতায় থেকেছিলাম।
দিল্লিতেও কিন্তু জমিয়ে পুজোতে আনন্দ করি আমরা। এখনও অঞ্জলির শাড়িটা আলাদা করে তোলা থাকে। দিল্লিতে গিয়েও অঞ্জলি দিই। সিঁদুর খেলাও হয়। এই দুটো মিস করি না। সিঁদুর খেলার শাড়ি সব সময় সাদা লাল পাড় হতে হবে এমন নয়। কিন্তু অষ্টমীতে সাদা-লালের ছোঁয়া থাকতেই হবে। আর কর্তা পাঞ্জাবি পরবেই।
আরও পড়ুন: এ বারের পুজোতে আছে এক্সাইটমেন্ট : রাজনন্দিনী
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বার মা হলাম নবমীর দিন: বিদীপ্তা
এমনিতে বাড়ির সব রান্নাই খাই আমি। কিন্তু পুজোর সময় বাইরের খাবারও খাওয়া হয়। আমি জাঙ্ক ফুড একটু এড়িয়ে চলি। তবে ফুচকা বা স্ন্যাক্স চলতেই থাকে।
আর একটা ব্যাপার শেয়ার না করলে দুর্গাপুজো অসম্পূর্ণ থাকবে। সেটা হল, পুজোর প্রেম। আর পুজোর প্রেম মানেই আমার কাছে ম্যাডক্স স্কোয়ার। আমি যোগমায়া দেবী কলেজে পড়তাম। কলেজে পড়ার সময় ম্যাডক্স স্কোয়ার মিস করতাম না। একটা দিন আমাদের যেতেই হত। কেন বলুন তো?সুন্দর, হ্যান্ডসাম ছেলে দেখার জন্য। হা হা হা...। তখন যদিও কিছু কিছু পরিচিতি এসেছে আমার। কিন্তু ওটা মাস্ট।
জানেন, গত বারও দিল্লিতে গিয়ে বরেরা ঢাক বাজাচ্ছে, সে সময় আমি আর আমার বন্ধু পৌলোমী ছেলে দেখছি। হা হা...। বর তো আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু। ফলে বরকেও ডেকে দেখিয়েছিলাম। এখনও কোনও প্রোপোজাল পেলে আমি বরকেই আগে বলি।
আরও পড়ুন: ছোটবেলায় পুজোর প্রেম প্রচুর হয়েছে, নায়িকা হওয়ার পর…
পুজোতে মা বাবাদের একটু মিস করি। তবে কলকাতা বা কলকাতার পুজো খুব একটা মিস করি না। ভিড় বা জ্যামের জন্য আমি পালাতে চাই। বাবা-মায়েরা আপত্তি করলেও পালাই। বলি, পাঁচটা’-ছটা দিন আমাদের ছেড়ে দাও। কলকাতায় থাকতে চাই না।
ভিডিয়ো: অজয় রায়।