পুজোয় মেদিনীপুরে বাড়িতে যাই। অনেকটা সময় মফস্সলে বড় হয়েছি। তাই শহর ছেড়ে পুজোর ওই আমেজটাতেই ফিরে যেতে চাই। একটা সময় ছিল, দেখতাম কোন অসুর কতটা বড় হল? তখন নাস্তিক ছিলাম না। বাড়ি আস্তিক ছিল। কলকাতায় থিয়েটার করতে এসে আস্তিকতা-নাস্তিকতার বোধ জন্মাল। তার পর থেকেই নাস্তিক হলাম। তবে অঞ্জলি কোনও দিন কোনও পুজোতেই দিইনি। এখন টেলিভিশন, সিনেমার জন্য খুব একটা বাইরে যাই না। বাড়িতেই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে থাকি। আর ক্রিকেট খেলি পুজোতে।
ছোটবেলায় বাবা-কাকাদের কাছ থেকে নতুন পোশাক পাওয়া আর বন্দুকের ক্যাপ ফাটানো মানেই ছিল দুর্গা পুজো। সাইকেল নিয়ে ঘুরতাম। মেয়েদের দেখতাম আর ভাবতাম, তারাও আমায় দেখছে কী না! মফস্সলের মধ্যবিত্ত ভীরু প্রেম। এখন সে প্রেম নেই। জ্যাঠামো এসছে। তবে দুর্গা পুজোতে দার্জিলিং চলে গেলাম এমনটাও আবার নয়। পুজো পুজো পরিবেশটা সঙ্গে নিয়ে থাকতে চাই।
এ বার তো 'গুমনামী' আসছে পুজোয়। একটা উৎসাহ ত থাকবে যে ছবিটা দর্শকদের কেমন লাগল! ইদানীং আমার মধ্যে মানুষ প্রেমসুলভ ব্যাপার খুঁজে পায় যদিও। তারা নিজেরাই পায়। তাই দায় তাদের। তবে পুজোর সময়টা প্রেম করার উপযুক্ত নয় বলে আমার মনে হয়। ভিড়, চাপানো সাজগোজ। আমার সব কিছুই স্বাভাবিক ভাল লাগে। তবে সেই ভাল লাগা, প্রেম এখন অনেকটাই চলে গিয়েছে। অপসৃত যৌবন আরকি! এই রে! একটু বোধ হয় বাড়িয়েই বললাম।
আরও পড়ুন : ছোটবেলার স্মৃতিগুলো টাটকা হয়ে ওঠে এই সময়ে: মেহতাব
আরও পড়ুন: রাজের সঙ্গে আলাদা করে পুজো কাটানোর প্ল্যান নেই: শুভশ্রী
সাজ নিয়েও আমার মাথাব্যাথা নেই। ফ্যাশনে খুব একটা আগ্রহ ছিল না। খুব অল্পের মধ্যে বড় হয়েছিলাম তো। প্রথম যখন শহরে আসি, গোঁজা জামা আর একটা প্যান্ট। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেলাম। চাহিদা তৈরি হল। অভিনেতা হওয়ার পর বুঝেছি একটা সেন্স লাগে। এখনও মাঝে মাঝে হাসির পাত্র হয়ে যাই। সোহিনীরাই বলে, ‘‘পার্টিতে এ রকম পরে চলে এলি! কি রে?’’ এভাবেই চলছে।
পুজোর পর শুরু হবে হইচই সিরিজের ‘ব্যোমকেশ’। তবে অনেক দিন পর নাটক করছি। আমি পরিচালক। পুজোর পরে শো। এই নিয়ে টেনশনেও আছি। 'পন্তু লাহা টু পয়েন্ট জিরো'। কেমন হবে সেই নাটক— সেই টেনশনে পুজো কাটবে।