দর্শনা বণিক এবং সৌরভ দাস
লক্ষ্মীপুজো এলেই মামাবাড়ির কথা খুব মনে পড়ে। তার থেকেও বেশি পছন্দ ছিল দিদার হাতের নারকেল নাড়ু। দিদাদের হাতে যেন জাদু থাকে! এ বার লক্ষ্মীপুজোটা পাহাড়ে কাটছে। এই মুহূর্তে কাশ্মীরে রয়েছি আমি আর সৌরভ। তবে কলকাতায় থাকলেও তেমনভাবে পুজো করা হয়ে ওঠে হয় না। কারণ আমি আর সৌরভ, দু’জনেই পুজোতে তেমন ভাবে বিশ্বাস করি না। তবে ভগবানের উপর মনেপ্রাণে বিশ্বাস রাখি।
বাড়িতে পুজোর আয়োজন করতেই হবে, এই বিষয়টায় খুব একটা বিশ্বাস নেই। তবে ভবিষ্যতে হয়ত আমাদের চিন্তাভাবনা বদলাতেই পারে। ভগবানের মূর্তি বা ছবি থাকলে সেখানে নিষ্ঠাভরে মালা পরাই, ধূপ জ্বালাই, ভোগ দিই।
আমার মামাবাড়িতে আবার খুব বড় করে পুজো হয়। লক্ষ্মীপুজো মানেই আমার কাছে নারকেল নাড়ু। এই বিষয়গুলি যেন দিদাদের ‘বাঁয়ে হাত কা খেল’। পুজোর সিন্নি, চাল মাখা, নাড়ু আমার খুব প্রিয়। সেই সঙ্গে রাতেরবেলা জমিয়ে লুচি আর ছোলার ডাল খাওয়া। ছোটবেলায় ভাত খেতে পছন্দ করতাম না খুব একটা। কিন্তু এখন ভাত আর ডাল আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার।
আগে লক্ষ্মী পুজোর সময় ভাইবোনদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা, বিশেষ করে নাড়ু চুরি করে খাওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম ছিল। দিদা বলতেন, পুজোর আগে নাড়ু না খেতে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! এই বছর লক্ষ্মীপুজোয় কলকাতায় নেই। খুব মিস করছি কলকাতার পুজোকে। যদিও আমার বাড়িতে কোনও দিনই পুজো হয় না। আমার মামার বাড়িতে পুজো হত। ওটাই মনে পড়ছে খুব। কিন্তু কী আর করা যাবে!
একটা সত্যি কথা লিখেই ফেলি? এই বছর লক্ষ্মী ঠাকুরের কাছে আমি লক্ষ্মীই চাইব! ওটা ছাড়া তো কারওরই চলে না, তাই না?
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।