মানহাইমের দুর্গাপুজো
শুধু আমেরিকা বা লন্ডন নয়, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে মেতে ওঠে সুদূর জার্মানিও। প্রথমে সীমিত কিছু বাঙালির হাত ধরে শুরু। বর্তমানে জার্মানির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দুর্গাপুজো হয় পুরোদস্তুর বাঙালি রীতিনীতি মেনে। বাংলার পুজোর মতোই সেজে ওঠে দূর প্রবাসের এই পুজোগুলি। এ বার সেই তালিকায় নাম লেখাল মানহাইম।
চাকরি ও বিভিন্ন কাজের সূত্রে পুজোর সময়ে অনেকেরই দেশে ফেরা হয়ে ওঠে না। শারদীয়ার দিনগুলো তাই বেশ কিছুটা মন খারাপেই কাটে। কিন্তু পুজোর আনন্দকে মাটি করতে না দেওয়ার সংকল্পে এ বছর প্রথম বার প্রবাসেই দুর্গার আবাহনে মাতলেন জার্মানির মানহাইমের বাঙালিরা। কাশফুল নেই, শিউলিও নেই। তাতে কী! পুজো পুজো মন আর বাঙালিয়ানায় ডুব দেওয়া তো আছে!
এর আগে বেশ কয়েক বছর ধরেই জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট ও স্টুটগার্টে দুর্গাপুজোর প্রবাসী বাঙালিরা দুর্গাপুজো করে আসছেন। কিন্তু সেই পুজো সীমিত ছিল ওই দুই এলাকার মধ্যেই। তাই মানহাইমের বাঙলিরাও সিদ্ধান্ত নেন, এ বছর থেকে তাঁরা নিজেদের পুজো শুরু করবেন। যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। সকলের সম্মতি মিলতেই শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। একদম সাবেক বাঙালি ভাবনায় সাজিয়ে তোলা হয় পুজো প্রাঙ্গণ। এর পরে খাঁটি বাঙালি নিয়ম মতে দশকর্মা থেকে শুরু করে পুজোর সমস্ত সামগ্রী জোগাড় করে ফেলা। পুজো তো বটেই, সঙ্গে নাচগান, খাওয়াদাওয়া, সিঁদুর খেলা– কোনওটাই বাকি ছিল না উৎসবের দিনগুলিতে। সব মিলিয়ে যেন মানহাইমের বুকে এক টুকরো বাংলা!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।