কথায় বলে, চার মাথা এক হলে অনেক কিছুরই চটজলদি পথ মেলে। সে কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছিল ২০২১ সালের মে মাসে, যখন ৪ বন্ধু মিলে ভেবেছিলেন বিদেশের মাটি ব্রিসবেনে ভারতীয় তথা বাঙালিয়ানাকে নতুন ভাবে তুলে ধরার কথা।
তাঁদের হাত ধরেই গড়ে ওঠে ‘ঐকতান’। ক্যুইন্সল্যান্ডের বুকে অতিমারির ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে তাঁরা দুর্গাপুজো শুরু করেন।
চলতি বছরে সেই পুজো আরও বড় ও জাঁকজমকের সঙ্গে সকলের চোখের সামনে এসেছে। এ বছরের ২৮-২৯ অক্টোবর অ্যাল্বানি ক্রিক কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গণে তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিত হল তাঁদের উদযাপন।
কলকাতা থেকে গানের জগতের নতুন মুখ উজান মুখোপাধ্যায় এসেছিলেন অনুষ্ঠান করতে। নিজেদের বাড়ির পুজোর মতো করেই এই পুজোকে আগলে রেখেছেন কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তারা।
আনন্দের মুহূর্তে সামিল করে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার সুযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। থিমে বা মণ্ডপসজ্জায় কলকাতা ও ব্রিসবেন দুই শহরেরই স্বাদ।
নানা কারুকাজ ও নিখুঁত সজ্জার মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল। উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের নানা প্রান্তের মানুষ ও তাঁদের পরিবার।
প্রত্যেকেই বিদেশের মাটিতে নানা পেশায় জড়িত। কিন্তু মাটির টান বড় টান! উদযাপনের আয়োজনে তাই একসূত্রে গেঁথে গিয়েছেন সকলে।
চলতি বছর প্রথম দিনে দেবীবরণ থেকে সপ্তমীর পুজো, সবটাই হয়।
দ্বিতীয় দিনে হয় অষ্টমীর পুজো, অঞ্জলি, সন্ধিপুজো, নবমী ও দশমীর পুজো এবং শেষে দেবীবরণ দিয়ে বিসর্জনের প্রস্তুতি।
ভোগে থাকে খিচুড়ি, বেগুনি, চাটনি ও মিষ্টি। দ্বিতীয় দিনে তারকা ভাতের পাতে পাঁঠার মাংস।
এ দিকে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়া পুজো জমবে কেন! তাই নাচ, গান, অভিনয় সব মিলিয়েই জমজমাট হয়ে ওঠে পুজো-পরবর্তী সময়টুকু।