নিউ জার্সির পুজো।
ফেলে আসা দেশ আর দেশের মাটিকে সব সময় সঙ্গে সঙ্গে রাখতে সাতাশ বছর আগে নিউ জার্সির এক শহরে শুরু হয়েছিল গার্ডেন স্টেট কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন-এর পথ চলা৷ তাদের পুজোয় এখনও একটা উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোর গন্ধ পাওয়া যায়৷ শিউলিফুল হয়তো নেই৷ তাতে কী? তা আছে মনে মনে৷ আছে নিস্তব্ধ উজ্জ্বল শারদ ভোর৷ এই প্রকৃতিতেই পুরোদমে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় প্রতি বছর৷
প্রতিমা আসে কুমোরটুলি থেকেই৷ প্রতি পাঁচ বছরে এক বার বদল হয় প্রতিমা৷ পুরুতমশাই সংস্থারই সদস্য, গুরু চক্রবর্তী এবং প্রসূন চক্রবর্তী৷ কাঁসর-ঘণ্টা আর ঢাকের বাদ্যিতে নিখাদ বঙ্গ আবহাওয়ায় পেটপুজোর আয়োজনটিও বঙ্গীয়৷ মা দুগ্গার ভোগে বাঙালির আবেগকে সম্মান দিয়েই এই সাতসমুদ্র পারেও রাঙা আলু আর মিষ্টি কুমড়ো-সহযোগে লাবড়ার সঙ্গে আদুরে বেগুনি পাতে পড়ে৷ আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো আছেই৷
এ বারের সাস্কৃতিক আয়োজন একটু অন্য রকম৷ শুরুটাই হচ্ছে কচিকাঁচাদের দিয়ে৷ ছোটদের দেবীবন্দনা দিয়ে শুরু করার পরে থাকছে পার্থসারথি আর অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় অভিনব নৃত্যনাটক ‘মগনলালের ডেরায়’৷ আসছেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তাঁর লাইভ ব্যান্ড আর শুভশ্রী৷
চলছে খাওয়া-দাওয়া।
আরও পড়ুন: জ়ুরিখ ‘গড ম্যাটার’ নিয়ে হাজির হন পুরোহিতমশাই
আরও পড়ুন: ছানাপোনা নিয়ে আসছেন ‘নতুন’ মা
বিজয়ার দিন দেবজিৎ আর সোহিনী মুখোপাধ্যায়ের লাইভ গানের অনুষ্ঠান৷ চলছে শারদ মেলা বা ফল ফেয়ারও৷ পূজাবার্ষিকী, শাড়ি, গয়না, খাবারদাবার, কী নেই তাতে!