গতবছর এমনই আয়োজন করেছিলেন হল্যান্ডের বাঙালিরা।
পুজোতে হল্যান্ড মানেই ‘হইচই’। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসে গত বছর দুর্গা পুজোয় সাফল্যের পরে এ বছর সমস্ত ভারতীয়রাই মুখিয়ে রয়েছেন কবে শুরু হবে শারদীয়া উৎসব।
আর সেখানে কী কী চমক থাকবে উৎসবে। খাওয়া থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠান কী হচ্ছে তার লম্বা তালিকও তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সদস্যদের কাছে। এখন শুধু বোধনের সময়ের অপেক্ষা।
এবারে তৈরি হয়েছে পুজোর একটি ‘থিম’ সঙ্গীতও। পাশাপাশি সংস্কৃত উপস্থাপনার জন্য মুম্বই থেকে উড়িয়ে আনা হবে আমিত সানাকে। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত রয়েছে নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। নাটক থেকে সঙ্গীত, নৃত্যনাট্য সবই।
আরও পড়ুন: ডেট্রয়েটের প্রযুক্তিবিদেরাই মায়ের জন্য গড়ছেন রাজবাড়ির ঠাকুরদালান
পুজোর আয়োজনেও ফাঁক থাকবে না এ বছর। ধনুচি নাচ থেকে শুরু করে অষ্টমীর সন্ধি পুজো। নবমীর হোমযোগ্য সব কিছুই প্রথা মেনেই হবে এবছরও। পুজোর কাজের জন্য সদস্যদের ভাগ করে বিভিন্ন দল তৈরি হয়েছে। এক একটি দল এক একটি কাজ দেখাশোনা করবে।
আরও পড়ুন: ‘সুইসপুজো’ নিয়ে যাচ্ছে বেহালার সেই দিনগুলোয়
শুধু পুজো নয়, সবার জন্য এ বারও আয়োজন হচ্ছে বিরাট পেট পুজো। লুচি ছোলার ডাল থেকে শুরু ইলিশের ভাপা, মালপোয়া কিছুই বাদ নেই তালিকায়। পুজোর ক’টা দিন সবাই এখানেই ভোজন সারবেন। অনেক আগে যাঁরা দেশ ছেড়ে এসেছেন এখানে, তাঁদের প্রত্যেকের জন্যই এই ক’টা দিন আবার দেশের স্মৃতি ফিরিয়ে দেওয়াটাই হইচই-এর মূল থিম। মহালয়ার দিনই নেদারল্যান্ডসে থেকে সবার কাছে আগাম শারদীয় পুজোর শুভ কামনাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কাউন্টডাউন উৎসব শুরুর।
ছবি: পুজো উদ্যোক্তাদের সৌজন্যে।