ভারতের রাস্তার খানাখন্দ আপনার গাড়ি চালানোর সুখে বার বার ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। গাড়ি চালাতে চালাতে কোমর ব্যথাও যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে যায় আপনার। সেই কথা মাথায় রেখেই নিশান ইন্ডিয়া নিয়ে এল এক নতুন টেকনোলজি। যার নাম সিভিটি টেকনোলজি।
নিশানের নতুন দুই মডেল— ডাটসন গো এবং ডাটসন গো প্লাস-এ পাওয়া যাবে এই নতুন প্রযুক্তি। নিশান মোটর ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাকেশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ক্রেতার স্বাচ্ছন্দ্য সবার আগে দেখা উচিত। তাই নিশানের সিভিটি টেকনোলজি নিয়ে আসা হল ডাটসন গো এবং গো প্লাস মডেলে। এই টেকনোলজি যেমন গাড়িচালককে স্ট্রেস ফ্রি রাখবে, তেমনই কম রাখবে ইঞ্জিনের আওয়াজ।
ডাটসনের এই দু’টি মডেলে থাকছে প্রিমিয়াম ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল, সাত ইঞ্চি লম্বা টাচস্ক্রিন এবং ভয়েস রেকগনিশন সিস্টেম, অর্থাৎ আপনার গলার আওয়াজ শুনে কাজ করবে আপনার গাড়ি। অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপেল কার প্লে— এই দুই ধরনের ফোনের সঙ্গেই সংযোগ করা যাবে গাড়ির।
নতুন সিভিটি সিস্টেমের মাধ্যমে গিয়ার পাল্টানো এখন আরও সহজ হয়ে গিয়েছে এই গাড়িতে। যার ফলে শহরে হোক বা হাইওয়ে, কিংবা পাহাড়ি রাস্তা, গাড়ি চালানো এখন আরও সহজ এবং স্ট্রেস ফ্রি। অ্যাক্সেলারেটরে চাপ দিলেও ইঞ্জিনের আওয়াজ প্রায় শোনাই যায় না নিশানের নতুন এই দুই গাড়িতে।
আরও পড়ুন: স্কোডার ৮৫ বছর পূর্তিতে 'ইন্ডিয়া ২.০' নিয়ে এল ফোক্সভাগেন!
ডাটসন গো-র দাম রাখা হয়েছে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা এবং ডাটসন গো প্লাসের দাম প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা। ছ’রকম রঙে পাওয়া যাবে এই দু’টি মডেলের গাড়ি। রংগুলি হল রুবি রেড, ভিভিড ব্লু, ব্রোঞ্জ গ্রে, অ্যাম্বার অরেঞ্জ, ক্রিস্টাল সিলভার এবং ওপাল হোয়াইট। থাকবে দুই বছরের ওয়ার্যান্টিও। সামান্য কিছু অতিরিক্ত টাকার মাধ্যমে সেই ওয়ার্যান্টি বাড়িয়ে নেওয়ার ব্যবস্থাও রেখেছে গাড়ি প্রস্তুতকারী এই সংস্থা।
আরও পড়ুন: মহিন্দ্রা নিয়ে এল তাদের নতুন গাড়ি ‘মারাজ্জো’
নজর রাখা হয়েছে সুরক্ষার দিকেও। গাড়িতে যাতে কোনও স্ক্র্যাচ না লাগে তার জন্য থাকছে পেডেস্ট্রিয়ান প্রোটেকশন রিইনফোর্সমেন্ট। গাড়ির ভিতরে থাকছে দু’টি এয়ারব্যাগ এবং অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম। গাড়ির গতি বুঝে স্বয়ংক্রিয় দরজা বন্ধের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এই গাড়িতে। বিশেষ করে বাচ্চারা যাতে গাড়ি চলার সময় দরজা খুলে ফেলতে না পারে সেই জন্য খুবই উপযোগী এই পদ্ধতি।
দীপাবলি উপলক্ষে ডাটসনের তরফে বেশ কিছু অফার দেওয়া হচ্ছে। এই অফারের মাধ্যমে সাশ্রয় হতে পারে ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এক্সচেঞ্জ করলে পাওয়া যেতে পারে ২০ হাজার টাকা ছাড়।