স্টেফি হেমব্রম
বলা হয়, তরুণ প্রজন্মের হাতেই রয়েছে সঠিক ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। তারাই পারে সমাজকে উন্নত থেকে উন্নততর করে তুলতে। সেই কারণেই নবীন শিক্ষার্থীদের লালন করাটা অত্যন্ত জরুরি। যে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের হাত ধরেই সুস্থ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে স্বপ্ন দেখে শিক্ষার্থীরা।
গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থী তৈরির কারিগর হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সেন্ট ফ্রান্সিস অ্যাকাডেমি। এখানে শুধুমাত্র বাচ্চাদের শিক্ষার উপরেই নজর দেওয়া হয় না। বরং জোর দেওয়া হয় কী ভাবে ওই শিক্ষার্থী পড়াশোনাক ভালবাসতে পারে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা হয়। যাতে তাদের সামগ্রিক বিকাশ ঘটতে পারে।
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনেই কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের সঠিক পথ দেখান। আত্মবিশ্বাস বাড়ান। সেন্ট ফ্রান্সিস অ্যাকাডেমির শিক্ষিকা হিসাবে গত ২ বছর ধরে সেই কাজই করে চলেছেন স্টেফি হেমব্রম। খুব অল্প সময়েই শিক্ষার্থীদের প্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। স্টেফি বলেন, “স্কুলে ২ বছর কাটানো বেশ চ্যালেঞ্জিং। পাশাপাশি আমার জন্য এটা পাঠও বটে! এক জন পরিবর্তনশীল নারী হিসাবে আমি সব সময়ে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং শিক্ষার্থীদের মনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করি।”
খুব কম সময়েই শিক্ষার্থীদের মনে দাগ কাটতে পেরেছেন স্টেফি। শিক্ষকতাকে নিজের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জুড়ে নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “শিক্ষকতা আমার জন্য শুধু একটি পেশা নয়। এটি আমার একটি অংশ, যা ছাড়া আমার দৈনন্দিন জীবনে অসম্পূর্ণ।”
স্টেফির স্বপ্ন জীবনে অনেক উঁচুতে পৌছনো। সমস্ত বাধা পেরিয়ে, প্রতিকূলতা পেরিয়ে ডানা মেলে ওড়ার। সমসায়মিক সময়ে বাংলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসাবে নিজেকে মেলে ধরার। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সময় স্টেফি জানান, “শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও অনেক উচ্চতায় আমাকে পৌঁছতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত শেখার লক্ষ্য রাখতে হবে। আমার কর্মজীবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে। সে সব উপেক্ষা করে হাসিমুখে সব দুঃখ লুকিয়ে তবে স্কুলেই নিয়ে যাই।”
প্রতিটি মহিলার জীবনের সঠিক জায়গায় উদ্যোক্তা হওয়ার একটি গুণ রয়েছে। স্টেফির ক্ষেত্রেও তার অন্য়থা হয় নি। তাঁর লক্ষ্য, সেরা শিক্ষক হওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলেছেন স্টেফি।
আরও অপরাজিতাদের গল্প জানতে ক্লিক করুন —অপরাজিতা ২০২৩