সার্ভিস কোয়ার্টারে বক্স খাট করার কোনও দরকার নেই
সার্ভিস কোয়ার্টারের কনসেপ্ট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে,নানাশহরে অনেকদিন ধরেই আছে। কলকাতায় প্রায় বছর দশ-বারো হল সার্ভিস কোয়ার্টারের কনসেপ্ট ভাল ভাবে শুরু হয়েছে। শহর কিংবা শহরতলির ফ্ল্যাটকে অনেকেই ‘সার্ভিস কোয়ার্টার’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। আসলে এটা কোনও হোটেল বা গেস্ট হাউস নয়। বাইরে থেকে শহরে এলে অল্প কিছুদিন খুব কম খরচে কিন্তু আরামদায়ক ভাবে একেবারে বাড়ির মতো করে থাকতে পারার একটা জায়গাই এমন সার্ভিস কোয়ার্টার।
ফ্ল্যাটের সাজসজ্জা খুব যে বেশি রকম হয়,এক্ষেত্রে সেটা একেবারেই নয়। তবে সাজসজ্জায় একটা ছন্দ থাকবে। খুব সাধারণ কিছু ব্যাপার যেমন বেড,ওয়ার্ডরোব, ড্রেসিং এরিনা সাইড টেবিল, এলসিডি ইউনিট এসবগুলো অবশ্যই থাকবে। যেহেতু সার্ভিস কোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে,তাই বক্স খাট করার কোনও দরকার নেই। খাটের হেডবোর্ড সুন্দর করে করলেই হবে। ওয়ার্ডরোবে গভীরতা অন্তত বাইশ ইঞ্চি হবে,যাতে ওয়ার্ডরোবের ভিতরে কোট ঝোলানো যেতে পারে। সাইড টেবিলে ড্রয়ার অবশ্যই যেন থাকে। এবং দু’দিকের সাইড টেবিলের পাশেই যেন প্লাগ পয়েন্ট থাকে। খাটের পিছনের দেওয়ালে ব্রাকেট ডাউন লাইট লাগাতে পারেন। পড়ার সুবিধে হবে। ঘরে একটা স্টাডি টেবিল রাখতে পারলে খুব ভালহয়, সঙ্গে চেয়ার।
খুব বেশি আসবাবপত্র দিয়ে ঘর ভরতি করার দরকার নেই
সব ঘরগুলোই মোটামুটি একই রকম ফিনিশের হবে। প্রতিটা ঘরের ক্ষেত্রে কমন টয়লেট অবশ্যই যেন থাকে। এছাড়াও কমন একটা বসার ঘর আর ডাইনিং এলাকা যেন থাকে। বসার ঘরে সোফা সেন্টার টেবিল–সহ রাখুন। কিচেন থাকবেএবং কেয়ারটেকার থাকলে তিনিও ব্যবহার করতে পারবেন এমন সহজ নকশা হবে এর। একটা ফ্রিজ অবশ্যই যেন থাকে। অনেকে প্রতিটা ঘরে ফ্রিজের ব্যবস্থা রাখেন।
প্রতিটা ঘরের সঙ্গে সবসময় বারান্দা থাকে না।তাই কমন একটা বারান্দা থাকলে মন্দ হয় না। সার্ভিস কোয়ার্টার থাকলে একটা ছোট্ট মতন অপারেশন রুম কিংবা অফিস যেটাই বলি না কেন,খুব দরকার।শহরে অনেকেই কিছুদিনের জন্যে আসেন। ভাল হোটেলে থাকা বেশি দিনের জন্য বেশ খরচ সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে সার্ভিস কোয়ার্টার অত্যন্ত কাজের। তাই অল্প দিনের এই ঘরের সাজেও থাকুক আন্তরিকতার ছোঁয়াচ।