প্রদীপ ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
দলের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ইমামুদ্দিন আনসারির খুনের ঘটনাকে সামনে রেখে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কলকাতায় আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করার অভিযোগ করলেন কলকাতা উত্তরের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য। খুনের ঘটনার প্রতিবাদে নারকেলডাঙা থানার সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছে বাম-কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদারকে পাশে বসিয়ে প্রদীপ জানিয়েছেন, আজ, শনিবার মহানগরের সব থানায় সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানানো হবে। পাশাপাশি, দুই নেতাই এ দিন নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বাম-কংগ্রেস এ দিন কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছিল। তৃণমূল যাবতীয় অভিযোগ আগেই উড়িয়ে দিয়েছে।
ইমামুদ্দিনকে বৃহস্পতিবার ভোরে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রদীপের অভিযোগ, “ভোটের আগে কলকাতা শহরে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূল যদি ভেবে থাকে এই ভাবে বাম-কংগ্রেসকে আটকে দেবে, তা হলে সেটা ভুল ভাবছে।” পাশাপাশি, ইমামুদ্দিনের স্ত্রী খুনের আগের দিনই যে থানায় তাঁর স্বামীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রদীপের অভিযোগ, “পুলিশ কিছুই করেনি। থানা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করলে ছেলেটা বেঁচে যেত।” পাশে বসেই কল্লোলেরও অভিযোগ, “যে নৃশংস খুন ঘটেছে, তাতে এলাকাবাসী শিউরে উঠেছেন। এই ঘটনায় আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিতে বাধ্য হয়েছি।” এই সূত্র ধরেই কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রদীপ এবং কল্লোল। সিপিএমের জেলা সম্পাদক কল্লোল কমিশনকে কার্যত ‘ডাকঘর’ বলে কটাক্ষ করেছেন। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যে রাস্তায়, সেখানে পুলিশ প্রচার করতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে কালীঘাট থানার ওসি-র অপসারণ দাবি করেছেন কল্লোল। সাংবাদিক সম্মেলনে এ দিন ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণা দেবনাথ, সুমন রায়চৌধুরী, দলের উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি রানা রায়চৌধুরী প্রমুখ। নারকেলডাঙা থানায় বিক্ষোভ হয়েছে মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি সুমন পাল, শাহিনা জাভেদ, তপন আগরওয়ালদের নেতৃত্বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy