জলভূমি দখলে বেজিংয়ের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের নেমে পড়ল ওয়াশিংটন। চিনের সব আপত্তি উড়িয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে প্রবেশ করল মার্কিন রণতরী। এটাই শেষ নয়, ওই অঞ্চল দখলে অব্যাহত থাকবে নৌ-বাহিনীর অভিযান। সাফ জানিয়েছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব। ‘‘এই মুহূর্তে দক্ষণ চিন সাগরে আমাদের অভিযান চলছে। আগামী সপ্তাহ, এমনকি মাস ব্যাপী এই অভিযান চলবে।’’ বলেছেন কার্টার। দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকার নিয়ে এই মুহূর্তে রীতিমতো উত্তপ্ত চিন-আমেরিকা সম্পর্ক। পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত সমুদ্র অঞ্চল দক্ষিণ চিন সাগরের বেশির ভাগ অংশ বহুদিন ধরেই নিজেদের বলে দাবি করে চিন। সেখানে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জও তৈরি ফেলেছে তারা। এবার চিনের সেই একাধিপত্যে ভাগ বসাতে চায় আমেরিকা। মঙ্গলবার সুবি এবং মিসচিফ রিফের কাছাকাছি পৌঁছে যায় একটি মার্কিন রণতরী। বুধবার রণতরীটি চিনের কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের ১২ মাইল পরিধির মধ্যে প্রবেশ করে গেছে। ওয়াশিংটনের দাবি আন্তর্জাতিক আইন মেনেই এই অভিযান চালাচ্ছে তারা। প্রতিরক্ষা সচিবের কথায় ‘‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সমতা বজায় রেখে আমেরিকার ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতেই আমারা এই অভিযান চালাচ্ছি।’’
অন্যদিকে আমেরিকার এই চ্যালেঞ্জে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিন। জানিয়েছে নিজেদের অঞ্চলে অন্য কারও খবরদারি তারা বরদাস্ত করবে না। আমেরিকায় চিনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন ‘‘পেশি শক্তি দেখিয়ে এভাবে অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের আগে ১০ বার ভাবা উচিত আমেরিকার, কোনও রকম প্ররোচনামূলক কার্যকলাপের ফলে যদি আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট হয়, তার দায় আমেরিকার উপরেই বর্তাবে।’’
বেজিং-এর এই অভিযোগকে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছে না হোয়াইট হাউস। তাদের দাবি, সমুদ্রের ওই অংশের উপর অধিকার সব দেশের। কেউই সেখানে একাধিপত্য কায়েম করতে পারে না। ‘‘এটা অধিকারের প্রশ্ন। আমাদের স্বাধীনতা কেউই কেড়ে নিতে পারে না।’’ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি। তবে নির্দিষ্ট কোনও সেনা অভিযানের পথে আমেরিকা হাঁটবে কিনা, সেই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি ওয়াশিংটন।
আমেরিকার অবশ্য দাবি এই অভিযানের ফলে চিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র চিড় ধরবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy